মুখের মধ্যে সবচেয়ে কোমল ও সুন্দর জায়গাটি হলো ঠোঁট৷ আর এই ঠোঁটকে সুন্দর রাখতেই লিপস্টিক ও লিপগ্লসের চাহিদা তুঙ্গে৷ কিন্তু বিভিন্ন কারণে ঠোঁট কালচে হয়ে যেতে পারে এবং ঠোঁচের ত্বকে দেখা দিতে পারে রুক্ষতা৷ অতিরিক্ত রোদ, চা-কফি বেশি পরিমাণে খাওয়া, কমদামি লিপস্টিক, ধূমপান ইত্যাদি কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যায়৷ ঠোঁট একবার কালো হলে তার রঙ ফিরিয়ে আনা বেশ কঠিন৷ তবে ঘরে বসেই যদি ঠোঁচের গোলাপী রঙ ফিরিয়ে আনা যায় তবে কেমন হবে? যারা নিজের ঠোঁট সুন্দর রাখতে চান তাদের জন্য রইল কিছু টিপস৷
সমপরিমাণ লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান৷ একঘণ্টা রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে যতবার ইচ্ছে আপনি ব্যবহার করতে পারেন৷ কিছু দিনের মধ্যেই ঠোঁটের রঙের পরিবর্তন চোখে পড়বে৷
ঠোঁট শুকনো থাকলে তা রোদের সংস্পর্শে এসে কালো হয়ে যায়৷ তুলাতে খানিকটা গ্লিসারিন লাগিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে মেখে নিন৷ সারা রাত রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন৷ এতে ঠোঁটের শুষ্কতা ও কালচে রঙ দুটোই কমে আসবে৷
প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খান৷ শরীরে পানির পরিমাণ কম হলে তার প্রভাব ঠোঁটের রঙের উপরে পড়ে৷
ঠোঁটে ব্যবহার করার লিপস্টিক, গ্লস বা বাম কি মানের ব্যবহার করছেন সেদিকে সচেতন থাকুন৷ কমদামি ও খারাপ মানের প্রসাধনী একেবারেই ব্যবহার করবেন না৷ এতে খাপার কেমিক্যাল ও রঙ ব্যবহার করা হয় যা আপনার ঠোঁটের পক্ষে ক্ষতিকর৷
আমন্ড অয়েল সাধারনত চুল ও ত্বকে ব্যবহার করা হয়৷ এই তেল কিন্তু ঠোঁটের জন্যও বেশ উপকারি৷ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে আমন্ড অয়েল লাগিয়ে নিন৷ কয়েকদিনের মধ্যেই প্রভাব চোখে পড়বে৷
প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে শসার রস ঠোঁটে লাগাতে পারেন৷ নিয়মিত ব্যবহার করলে তফাৎ বুঝতে পারবেন৷
একটুকরো লেবুতে চিনি লাগিয়েও ঠোঁটে ঘষতে পারেন৷ এতেও উপকার পাবেন৷
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ঠোঁট ভালো রাখার জন্য অবশ্যই তা ত্যাগ করতে হবে৷ সঙ্গে অতিরিক্ত চা বা কফি খাওয়া চলবে না৷