সাজ পোশাক যেমনই হোক না কেন হাতের একটা আংটিই কিন্তু আপনাকে অতুলনীয় করে তুলতে পারে। কিন্তু কি পোশাক পড়েছেন তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল দেখে নেওয়া আপনার আঙুলের গড়ণ ঠিক কেমন।
আগে শুধু অনামিকাতেই নারীরা অংটি পড়তেন। কিন্তু হাল ফ্যাশানে প্রায় সব আঙুলেই এমনকি বুড়ো আঙুলেও আংটি পরাটা এখন ফ্যাশন। তাই জেনে নিন আপনার কোন আঙুলে সবচেয়ে বেশি মানাবে কোন আংটি।
আঙুলের আকার ও ধরণ অনুযায়ী আংটি বেছে নিতে হবে। হাতের আঙুল লম্বাটে হলে পার্ল বা ওভাল শেপের আংটি অনেক সময় ভাল মানায় না। এক্ষেত্রে রাউন্ড চাঙ্কি রিং ভাল মানাবে। অন্যদিকে ওভাল শেপের আংটি সবচেয়ে ভাল মানায় ছোট আঙুলে। এছাড়াও জিওম্যাট্রিক শেপের আংটিও ছোট আঙুলে বেশ ভাল মানায়। এতে আঙুলের আকার বড় দেখায়। যাদের আঙুল সরু তারা গোল আকারের স্টোনের আঙটি পড়তে পারেন, এতে আঙুলের সৌন্দর্য বাড়বে। মোটা ধরণের আংটিও পড়লেও সরু আঙুল মোটা দেখাতে পারে। বড় মাপের স্টোনের চাংকি রিংও মোটা আঙুল বেশ মানায়। এতে আঙুল সরু দেখায়।
আঙুলের আকার ছাড়াও হাতের গড়ণের উপরেও আংটি নির্ভর করে। যাদের হাতটি বড় মাপের তারা ছোপ স্টোন বা ছোট মাপের আংটি পড়বেন না। একটু বড় স্টোনের আংটি পড়ুন। যাদের হাতের মাপ ছোট তারা ওভারসাইজড আংটি এড়িয়ে চলুন। অনেকে হার্ট, ওভাল বা গোল আকারের চাকতি আংটি পছন্দ করেননা। তারা বিভিন্ন অক্ষর, শব্দ বা সিম্বলিক ডিজাইনের আংটি ব্যবহার করতে পারেন।
কি ধরণের পোশাক পড়েছেন তার উপরেও আংটি নির্ভর করে। পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে বিভিন্ন রঙের আংটি বেশ ভাল মানায়। কোন বিশেষ অনুষ্ঠান বা পার্টিতে সোনালী রভের আংটি পড়তে পারেন। কুন্দন বা বিভিন্ন স্টোনের কারুকার্ড করা আংটিও বেশ ভাল মানাবে। শাড়ি বা সালোয়ারের সঙ্গে এই ধরণের আংটি মানায়। রঙিন মিনে করা আংটিও পড়তে পারেন।