অবৈধ প্রেমের বিষয়ে বিবাহিত মহিলারাও পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে নেই। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্বামীর থেকে পূর্ণ যৌন তৃপ্তি না পেলেও তারা মোটেও বিবাহবিচ্ছেদের পথ মাড়ান না। বরং পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে নিজের শারীরিক চাহিদা মিটিয়ে নিতে চান।
বিবাহিত মধ্যবয়স্কা মহিলাদের শারীরিক ও মানসিক চাহিদা একটু বেশিই হয় সে কথা মানছেন গবেষকরা। জীবনের মধ্যগগনে এসে প্রিয় পুরুষের কাছে ধরে রাখতে চান নিজের পূর্ণ আকর্ষণ। কিন্তু স্বামী যদি তার দিকে মন না দেন বা শয্যায় চাহিদা না পূরণ করতে পারেন তখনই পরকীয়ায় মজেন মহিলারা।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ উইনচেস্টারের পুরুষত্ব ও সেক্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক এরিক অ্যান্ডারসন জানাচ্ছেন, ‘বিয়ে করে পরিতৃপ্ত ও শয্যায় পূর্ণ তৃপ্তি পাওয়া দু’টো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।’ তার গবেষণা বলছে, ৩০-৪৫ বছরের মহিলারা আরও রোম্যান্টিক ও উত্তেজনাময় যৌন জীবনের জন্যই পরকীয়ায় জড়ান।
বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডারসন ৩০-৪৫ বছরের ১০০ জনেরও বেশি বিবাহিত মহিলাদের নিয়ে তার গবেষণা চালিয়েছেন। অ্যাশলে ম্যাডিসন ডট কম নামে একটি পরকীয়া প্রেম সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এই মহিলাদের কথোপকথন টেপ-বন্দী করা হয়েছিল। তারপরেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা।
গবেষণায় ৬৫ শতাংশেরও বেশি মহিলা পরপুরুষে মজেছেন যৌন অতৃপ্তির কারণে। তাদের চাহিদা আরো উত্তেজনাময় ও আবেগমথিত সেক্স। পাশাপাশি তারা এও স্বীকার করেছেন, তার জন্য নতুন বিয়ে করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
অ্যান্ডারসন বলছেন, বিয়ের কিছু বছর পর স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্ক ফিকে হতে শুরু করে। কিন্তু মহিলারা ফের বিয়ে করে এক্সপেরিমেন্ট করতে চান না। তার দাবি, এই গবেষণার মূল নির্যাস কখনই বিবাহিত মহিলাদের অসম্মান করা নয়। বরং কি কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায় তার একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া।