চাকরি শব্দটি শুনলে যেমন থাকে অর্থপ্রাপ্তি তেমনি থাকে কাজের চাপ। তাই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই চাকুরি করেন না। স্বাধীনমতো চলাচল করার জন্য এরা ব্যবসায়ে মনোযোগী হন। কারণ চাকরির নাম শুনলে এদের চোখে জল আসে। অনেক সময় প্রয়োজনে ছুটি দিতে চান না তাদের অফিসের বস। বাধ্য হয়ে অনেকেই মিথ্যা কথা বলেন কিন্তু মিথ্যা কথা বলতে গিয়ে অনেকেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। ছুটিতো দূরের কথা উল্টো চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু একটু চেষ্টা করলে অফিস থেকে অাপনি ছুটি নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে। অথবা থাকতে পারেন চাপমুক্ত। জেনে নিন এজন্য আপনাকে কি করতে হবে।
1.পেট খারাপের বাহানা অনেক করেছেন এবার এবিষয়ে একটু সিরিয়াস হোন। বস কে বলুন সারাদিন আপনি ঘর আর বাথরুম করছেন। একথা আপনার বসও অস্বীকার করতে পারবেন না যে, মুঘল সম্রাট থেকে শুরু করে আপনার বসেরও ওইটির সমস্যা রয়েছে। এই কারণে অফিসে ছুটির প্রযোজন পড়েল এই উপায় আপনাকে সাহায্য করতে পারেন।
2.ধরুন, সকাল থেকে অফিস করে হাঁফিয়ে উঠেছেন। বিকেলটা ছুটি চাই। আর দেরী না করে মা, বাবা নইলে বউকে অসুস্থ করে তুলুন। বসকে গিয়ে বলুন হঠাৎ শরীর খারাপের কথা সঙ্গে বলতে ভুলবেন না যে আপনি না গেলেই নয়। তবে কায়দা করে মায়ের কথা যদি বলতে পারেন তবে আপনাকে আর পায় কে।
3.প্রিয় বন্ধু বা বান্ধবীর বিয়ের উপলক্ষ্যেও ছুটি নিতে পারেন। বসকে একটু বাড়িয়েই বলুন যে বন্ধু আমার কত দিনের পুরোনো। এর সঙ্গে কতকি না করেছি। সঙ্গে ভুয়ো বন্ধু সাজিয়ে এনে বসের সামনে দাঁড় করিয়ে দিন। ব্যস দেখবেন আপনার অন্তত তিন দিনের ছুটি পাকা হয়ে যাবে।
4.সাবধানতা অবলম্বন না করলেই দুর্ঘটনা। যে কোনো মুহুর্তে কোন না কোন দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে আপনার সঙ্গে। যদি সত্যি না ঘটেও, বানিয়ে বলতে দোষ কোথায়? বস কে ফোন করে বলে ফেলুন ছোট্ট মিথ্যে কথা৷ তারপর দুদিন মনের আনন্দে ছুটি কাটিয়ে মাথায় একটা ব্যান্ডেড আর হাতে বা পায়ে ক্রপ মুড়ে চলে যান অফিস। দেখবেন সকলেই সহানুভূতি আপনার সঙ্গে রয়েছে।
5.অফিসে এমন কোন কাজের বাহানা দিয়ে দিন যার সঙ্গে সরকার, কোট বা পুলিশের সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশ-কোর্ট কাছারির কথায় সকলেই একটু ভয় পান। জামিন, হাজিরা বা ব্যাঙ্কের নোটিশের কথা শুনে পৃথিবীর কোন বস নেই যে আপনাকে আটকাবে। আইন ব্যবস্থা পালনে অফিসের বসদেরও অনেক বড় যোগদান রয়েছে।
6.অফিসের মহিলা কর্মচারীদের জন্যেতো আলাদা বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। বস কে বলুন আজ আপনার হবু শ্বশুরবাড়ি থেকে আপনাকে দেখতে আসছে। যদিও বিবাহিতরা এবিষয়ে একটি মার খেতে পারেন। তবে কুছ পরোয়া নেই, ভাই বা বোনের শ্বশুরবাড়ির লোক আসছে বলে আপনি একদিন ছুটির মজা নিতেই পারেন।
7.ছুটি পেতে চাইলে অফিসে জানিয়ে দিন আপনা কে ছাড়া আপনার বাড়ির লোকেরা অচল। ডাক্তার বদ্যি সবকিছু আপনাকেই সামলাতে হয়। কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে বা কোন আত্মীয়কে ট্রেনে তুলে দিতে হবে বলেও ছুটি নেোয়া যেতে পারে।
8.বাচ্চার স্কুলে ফাংশন বা বউকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এই সব বললে আপনাকে নেহাতই ঘরোয়া জীব বলে মনে হতে পারে। কিন্তু যে বসের নিজের পরিবার রয়েছে তিনি আপনার এই বাহানা গুলিকেকষ্ট হিসেবে দেখবেন আর আপনাকে ছুটি দেবেনই।
9.বসের উপর যদি একবার ইমোশনাল অত্যাচার করতে পারেন তবে তো কথাই নেই। দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়া মারা গেছেন বলেও কাজ চালাতে পারেন। বসকে বলুন তিনি আপনার মায়ের খুব কাছের লোক ছিলেন। মাকে সঙ্গে নিয়ে আপনাকে সেখানে যেতেই হবে৷ কিন্তু বার বার একই আত্মীয়াকে মেরে ফেলবেন না যেন।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব