যেসব শিশু দীর্ঘ সময় মায়ের বুকের দুধ খায় তারা প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে আইকিউ পরীক্ষায় এগিয়ে থাকে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেও এগিয়ে থাকে তারা। এমনকি অন্যদের তুলনায় তারা জীবনে বেশি আয় করে থাকে। ব্রাজিলের এক দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। 'দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেল্থ' নামে একটি চিকিৎসাবিষয়ক জার্নালে গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। খবর বিবিসির
ব্রাজিলে প্রায় ৩ হাজার ৫শ' শিশুর ওপর গবেষণাটি চালানো হয়। এতে দেখা যায়, অতীত ও বর্তমানে শিশুদের ৬ মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়াতে বিশেষভাবে বলা হতো। কিন্তু এটা প্রমাণিত হয়নি যে কেবল ৬ মাসই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে কিনা। মায়েরা চাইলে এটা করতে পারে বা নাও করতে পারে।'
গবেষকরা বলছেন, স্তন্যপানকেই তারা বুদ্ধিমত্তা বাড়ার প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন না। স্তন্যপান ছাড়াও বুদ্ধিমত্তার ওপর আরো অনেক বিষয় প্রভাব বিস্তার করে থাকে যেমন মায়ের শিক্ষা, পরিবারের আয় এবং জন্মের সময় শিশুর ওজন। গবেষক দলের একজন হচ্ছেন ব্রাজিলের পেলোটাসের ফেডারেল ইউনিভার্সিটির লেসসা হোর্তা। তিনি বলেন, স্তন্যপান করানো এবং বুদ্ধি উভয়ের মধ্যে একটি ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। তাদের এই ফলাফল অনন্য ও অদ্বিতীয়।
হোর্তা আরো বলেন, স্তন্যপান করানোর চর্চাটি শুধু ধনী এবং শিক্ষিত মানুষের মধ্যেই নয় বরং এর চর্চা সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের মাঝে হয়ে আসছে। সমাজ শ্রেণি নির্বিশেষে সব শিশুই স্তন্যপান করে থাকে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ১ মাসের কম সময়, কেউ কেউ ১ বছরের বেশি সময় স্তন্যপান করে।
তবে যেসব শিশু দীর্ঘ সময় ধরে স্তন্যপান করে তাদের বুদ্ধিমত্তা বেশি হয়ে থাকে। এমন শিশুরা বেশি পড়াশোনা ও বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ মার্চ ২০১৫/শরীফ