আধুনিককালে কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ একটু বেশি-ই বলা যায়। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাই বলুন বা নিজের উন্নতির জন্যই হোক বা প্রতিষ্ঠানের চাহিদার কথাই ধরা হোক না কেন চাপ একটি বেশিই বলা চলে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এই চাপ যেন মাত্রাতিরিক্ত-ই হয়ে যায়। তাই এ চাপ থেকে উত্তরণে কী করণীয় তা নিয়েই আলোচনা করা হলো :
ধৈর্য রাখুন : কাজে কখনই ধৈর্য হারাবেন না। একটা ঘটনা ঘটলে কোনো কিছু ছুড়ে ফেলতে ইচ্ছে মনে আসতেই পারে! কিন্তু ভুলেও কাজে তা করে দেখাবেন না! তাহলেই ক্যারিয়ারের সর্বনাশ। এ সময়টাতে বরং অন্য কিছু নিয়ে ভাবুন। ভালো ভাবনা মনে না আসলে রিভার্স কাউন্টিং করুন ১০০ থেকে ১ পর্যন্ত। কোনো কিছুতেই কাজ না হলে সেই জায়গা থেকে সরে অন্য কোথাও যান। দেখবেন আস্তে আস্তে রাগটা কমে গেছে।
চেকলিস্ট বানান : রোজ কি কি কাজ করতে হবে তার একটা চেকলিস্ট আগে থেকেই বানিয়ে রাখুন। এক্ষেএে প্রয়োজনীয় কাজগুলোকে আগে প্রাধান্য দিন। এতে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে সুবিধা হবে।
কথা রাখুন : কমিটমেন্ট ফেল করবেন না কখনোই। সবসময় মিটিং অথবা অ্যাপয়েন্টমেন্ট সময়ের খানিকটা আগেই পৌঁছে যেতে চেষ্টা করবেন। যদি কোনো সমস্যা তৈরি হয় সেটা আপনার কলিগদের সময় থাকতেই জানিয়ে দিন। এতে করে আপনার জন্য কোনো কাজের ক্ষতি হবে না।
মন খুলে মিশুন : হাতের পাঁচ আঙুলের মতো অফিসেও সব কলিগ মনের মতো হবে না। তাই যে যেমন তার সঙ্গে তেমন ভাবেই মিশুন। অতিরিক্ত কোনো এক্সপেকটেশন কারো থেকে রাখবেন না। কর্মজীবন আর ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দকে মেলাবার মতো ভুলটাও করবেন না।
ইগো ছাড়ুন : কর্মক্ষেত্রে ইগো মাথাচাড়া দিলেই ক্যারিয়ারের সর্বনাশ। খেয়াল রাখবেন, কোম্পানির সাফল্য এবং আপনার ব্যক্তিগত সাফল্য দুটোই কিন্তু টিম ওয়ার্কের ওপরই নির্ভর করে।
লক্ষ্য স্থির করুন : সাফল্য পেতে চাইলে আগে নিজের লক্ষ্য স্থির করুন। কারণ লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারলে অবসাদ বাড়বে বই কমবে না।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শরীফ