জীবনে সবচেয়ে বেশি লুকোচুরির খেলা চলে যৌনতা নিয়েই। এ বিষয়টি নিয়ে কেউ যেমন প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাই না, তেমনি যৌনতায় সমান যোগ্যতাও হয় না সবার। তবে যৌনতার ওপরও রাশির একটা প্রভাব আছে। অনেকেই জানে না রাশি ভেদে যৌন সক্ষমতায় কারা সেরা? চলুন এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক:
মেষ (২১ মার্চ-২১ এপ্রিল)
দৈহিক প্রেমের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগে পারদর্শী এই রাশির মানুষেরা দুর্দান্ত প্রেমিক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু দেহজ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদের মনোযোগী হতে হবে সমানতালে।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)
এই রাশির মানুষেরা দৈহিক ভালোবাসার ক্ষেত্রে খুব সংবেদনশীল এবং শক্তিমত্তা প্রয়োগে পারদর্শী। যৌনতার স্ট্যামিনা বা শক্তির দিক থেকে এদের জুড়ি মেলা ভার। ক্লান্তিবিহীন, সদাপ্রস্তত এবং ছন্দময় দৈহিক সম্পর্কের গ্যারান্টি দিয়ে থাকে এই রাশির মানুষেরা।
মিথুন (২২ মে-২১ জুন)
বুধ গ্রহের প্রভাবে সদাসর্তক মনোভাব, মিষ্টভাষী, আদুরে আর খুনসুটিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব নিয়ে এই রাশির জাতক-জাতিকা রয়েছে মহাসুখে। শুদ্ধ ‘কথা’ দিয়েই অপর মানুষদের বশ করতে এদের জুড়ি নেই। যৌনতার বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল দিক এই রাশির মানুষদের টানে। মিথুন প্রেমিক/প্রেমিকাকে শয্যায় পাওয়া যেতে পারে ঠিক যেভাবে চাওয়া যায়।
কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)
দৈহিক প্রেমের ক্ষেত্রে কর্কট রাশির জাতক-জাতিকার সাহচর্য রোলার 'কোস্টার রাইড' এর মতো। এই চরম আনন্দের শিখরে তো এই শান্তশিষ্ট, ভাজা মাছটি উল্টে খেতে না জানার মতো হাবভাব। তাই এদের সঙ্গে কোন কিছু করার সময় সারপ্রাইজড হওয়ার প্রস্তুতি থাকতে হবে পুরোদস্তুর।
সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)
প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে বিখ্যাত সিংহ দৈহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তাদের সুনাম রয়েছে। যে কোন প্রগাঢ় সম্পর্কের ক্ষেত্রেই এদের ইতিবাচক মনোভাব, হাস্যরস আর শরীরিক দক্ষতা তুলনাহীন। সিংহ রাশির কাউকে ভালবাসার মানুষ হিসেবে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।
কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)
নিখাদ ভালোবাসা আর দুর্দান্ত যৌনতার অসাধারণ প্যাকেজ উপহার দিতে পারে কন্যা রাশিরা জাতক-জাতিকরা। কান, ঠোঁট কিংবা বুকের সংবেদনশীলতা এই রাশির মানুষের অতিমাত্রায় বেশি। আর দেহজ ভালবাসার ক্ষেত্রে কোমলতা ও রক্ষতার অদ্ভুত এক সমন্বয় এদের পছন্দ।
তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)
দিনে বন্ধু আর রাতে প্রেমিক- এই প্রবাদের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল তুলা রাশির ছেলে-মেয়েরা। এরা সাধারণত সৌন্দর্য, রহস্যময়তা আর দৈহিক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সঙ্গী-সঙ্গিনীদের শুধু একটু হাসি, উদ্দেশ্যপূর্ণ চাহনি, গাঢ় আলিঙ্গন বা হাতে মৃদু স্পর্শের মাধ্যমেই পটিয়ে ফেলতে পারে তুলা রাশির পুরুষ-নারীরা। তবে দৈহিক প্রেমের ক্ষেত্রে তারা বশে আনতে চাইবে না। বরং সঙ্গী-সঙ্গিনীকে দেবে ভালবাসার সুখ সাগরে অবাধ স্বাধীনতা। এভাবেই তুলারা অর্জন করতে পারবে বিশ্বাস আর দৈহিক সম্পর্কের চরম উৎকৃষ্টতা।
বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)
প্রতিটি বৃশ্চিকের মধ্যেই যেন লুকিয়ে আছে একেকটি অ্যাটম বোমার শক্তি। প্রবল আবেগ আর উন্নাসিকতার জন্য বৃশ্চিক জাতক-জাতিকা বেশ বিখ্যাত বা কুখ্যাত। যৌন জীবনে তা অনুদিত হয় উত্তেজনায় ভরপুর যন্ত্রণা আর উচ্ছ্বাসের সংমিশ্রণে এক আকর্ষণীয় মেলোড্রামায়। একজন বৃশ্চিকের দৃষ্টি ঠিক একটি ঈগলের মতো, যা সবকিছু ভেদ করে সঙ্গী-সঙ্গিনীকে কিছু বোঝার আগেই করে ফেলবে বশীভূত।
ধনু (২৩ নভেম্বর–২১ ডিসেম্বর)
ধনু রাশির কাউকে পার্টনার হিসেবে পাওয়াটা বেশ মজার অভিজ্ঞতার সূচনা করবে, এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ সাধারণত বেশ অ্যাথলেটিক গড়নের ধনুরা বেশি রসবোধ সম্পন্ন হয়। যা সঙ্গী-সঙ্গিনীর কাছে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে তারা প্রকাশ করবে ঠাট্টা-তামাশা, মজার সব সেক্সুয়াল অ্যাক্টের মাধ্যমে।
মকর (২২ ডিসেম্বর–২০ জানুয়ারি)
মকর রাশির জাতক-জাতিকা কোন কিছু করার আগে অনেক ভেবেচিন্তে পা ফেলে, আর কেস যদি হয় যৌনতাবিষয়ক, তাহলে তো কথাই নেই। হয়তো শুরুর সময়টাতে নিতে হবে কিছু আগ্রহী ভূমিকা, কিন্তু এরপর শুধু ফান-রাইড, কারণ মকর কাউন্টারপার্ট দৈহিক সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি থাকবে অতিমাত্রায় মনোযাগী। হয়তো প্রেমিক হিসেবে সিংহ বা বৃশ্চিকের মতো উত্তেজনাকর তারা নয়, কিন্তু মকর প্রেমিকের মতো নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসী অপর কাউকে খুঁজে পাওয়াটা হবে বেশ দুষ্কর।
কুম্ভ (২১ জানুয়ারি–১৮ ফেব্রুয়ারি)
প্রখর বুদ্ধিমত্তার অধিকারী কুম্ভ রাশির ছেলে-মেয়েরা নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকার প্রতি বিশেষ যত্নবান। যেভাবে এদের পেতে চাওয়া যায়, ঠিক সেভাবেই এরা কাছে ধরা দেবে। সঙ্গী-সঙ্গিনীর ওপরই নির্ভর করছে এদের বোরিং পার্টনার হিসেবে দূরে ঠেলে দেওয়া বা বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে কাছে টেনে নেওয়া।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি–২০ মার্চ)
চাতুর্যপূর্ণ কথা, আপাদমস্তক দৈহিক আর্কষণে পরিপূর্ণ এবং আবেগ দৃষ্টি দিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা। এই সবকিছুই পাওয়া দেহজ প্রেমের আরেক হান্টার মীন রাশির মানুষের কাছে। তার এতটুকু স্পর্শেও সঙ্গী-সঙ্গিনীর উত্তেজনায় অস্থির হয়ে উঠতে পারেন অথবা তার প্রগাঢ় আলিঙ্গন আপনাকে নিয়ে যেতে পারে অন্য জগতে। মীনের সঙ্গে ভালবাসার প্রতিটি মুহূর্তের যেন সুরের মূর্ছনা।
বিডি-প্রতিদিন/০১ ডিসেম্বর, ২০১৬/আলম