শিরোনাম
২০ এপ্রিল, ২০২০ ১২:৩১

নকশায় সংস্কৃতির ঐতিহ্য ধারণ

অনলাইন ডেস্ক

নকশায় সংস্কৃতির ঐতিহ্য ধারণ

সোনারগাঁও সিরিজে নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধারণ করেছে স্থানীয় আসবাব প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘকাল ধরেই ব্র্যান্ডিং, পণ্য ও ফ্যাশন ডিজাইনে পুরোনো সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। ঐতিহ্যবাহী এসব ডিজাইন শুধু দেশেই নয় পুরো বিশ্বব্যাপী রয়েছে যার বিস্তার। এমনকি দেশের বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভগুলো হয়ে উঠে ঐতিহ্যের প্রতীক। 

দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্বকারী দু'টি উল্লেখযোগ্য নমুনার একটি হলো জাতীয় সংসদ ভবন, যার স্থপতি লুই আই কান। সংসদ ভবনের নকশায় রয়েছে পশ্চিমা আধুনিকতার ছোঁয়া ও ইসলামিক দৃষ্টিকোণের একটি সংমিশ্রণ। অন্যটি হলো সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। প্রশস্ত ভিত্তিসম্পন্ন এই স্তম্ভটি সাতটি ত্রিভুজ আকৃতি মিনারের শিখর, যা দেশের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

বিশ্বের প্রতিটি জাতিই তাদের অনন্য ও বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকে এবং প্রত্যেক নাগরিকের কাছে তা একটি অনুপ্রেরণা ও গর্বের বিষয়। এভাবেই একটি দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিভিন্ন নকশা তৈরিতে দেশের মানুষের মনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। 

সংস্কৃতির সাথে নকশার এই অনন্য মিশ্রণ মানুষের মূল্যবোধ ও অগ্রাধিকারকে ফুটিয়ে তুলে। এটি আমাদের অতীত ও সমাজকে কীভাবে বিকশিত করেছে তার একটি চিহ্নও সরবরাহ করে থাকে। যা আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে যাচাই করতে এবং নিজেদের শেকড় সম্পর্কে সচেতন হতে সাহায্য করে। এসব পুরানো সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আমাদের ধরে রাখা প্রয়োজন, কেননা এসব ঐতিহ্যই আমাদের ইতিহাস ও বৈচিত্র্যকে আগলে রেখেছে। অসামান্য এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কেবল সংস্কৃতির আত্মপ্রকাশ নয় বরং তা দেশের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতার সম্পদে পরিণত হয়, যা এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।

দেশের একটি স্মার্ট আসবাবপত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইশো, দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তাদের ফার্নিচারের নকশা করে চলেছে। তারই একটি উদাহরণ হচ্ছে ইশোর নতুন সিরিজ সোনারগাঁও, যেখানে দেশের ঐতিহ্যবাহী সব নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নতুন এই সিরিজটিতে রয়েছে ৭০-এর দশকের জনপ্রিয় নকশাচিত্র এবং ঐতিহ্যবাহী কারুকার্যময় গঠন আর আধুনিক ফেব্রিককে দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনার নিদর্শন। 
সোনারগাঁও সিরিজটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সাথে ইশো’র অত্যাধুনিক নকশার একটি অনন্য মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে। যার মাধ্যমে একটি দেশের ঐতিহ্যবাহী নকশার সাথে প্রাসঙ্গিকতা এবং আধুনিকতা যুক্ত হয়েছে তা কিন্তু নয় তার সাথে আরও গুরুত্ব পেয়েছে আজকের বিশ্বে সাংস্কৃতিক বন্ধন মানুষের কাছে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেই বিষয়টিও।

মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য জিনিসগুলোর গতানুগতিক ডিজাইনে পরিবর্তন এনে আধুনিক জীবনযাপনের সাথে তাল রেখে নতুনত্ব নিয়ে এসেছে ইশো। যেখানে একটি বাড়ির সমস্ত ফাঁকা জায়গাকে ব্যবহারের ধারণা নিয়ে আসবাবের নকশায় করে থাকে এবং সৃজনশীলতা নকশার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলে। এছাড়া এই নকশাগুলোতে দেশের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে বিবেচনায় রাখায় আমাদের ঐতিহ্য রক্ষায় একটি বড় ধরনের সহয়তা করে চলছে ইশো। যা দেশের ইতিহাস ধরে রাখার ক্ষেত্রে খুবই গুরত্বপর্ণূ ভূমিকা পালন করবে। 

 

বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ

সর্বশেষ খবর