শিরোনাম
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:৩৯

মহামারিকালেও ব্যবসায়ের অমিত সম্ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক

মহামারিকালেও ব্যবসায়ের অমিত সম্ভাবনা

ইশো’র হেড অব বিজনেস মো. ফিরোজ আল মামুন।

বাংলাদেশের আসবাব শিল্পে গত এক দশকে এসেছে আমূল পরিবর্তন। আসবাবের নকশায় রুচি ও পছন্দের ধাচের সাথে গ্রাহকের বর্তমান এবং অতীত চাহিদার খুব একটা মিল নেই। প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি ফার্নিচার এখন একটি স্টাইলেরও বিষয়। চলতি ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে সৃষ্টিশীল আসবাব তৈরিতে এগিয়ে আছে উদ্ভাবনী ফার্নিচার ব্র্যান্ড ইশো। ইশোর হেড অব বিজনেস মো. ফিরোজ আল মামুন এক সাক্ষাৎকারে ইশো কীভাবে ব্র্যান্ড সুনাম বজায় রাখছে এবং ক্রমবর্ধমান আসবাবপত্র শিল্পের অনাবিষ্কৃত সম্ভাবনার অন্বেষণ চালিয়ে যাচ্ছে, তা ব্যক্ত করেছেন।

মাত্র দুই বছর আগে কার্যক্রম শুরু হওয়া ‘ইশো’ আজ পৌঁছে গেছে এক নতুন মাত্রায়। ব্র্যান্ডটি এই মহামারিকালেও বার্ষিক বিক্রয়ে ৬০০% বৃদ্ধির রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। লাইফস্টাইল ও আসবাব শিল্পে ইশো এক মজবুত অবস্থানে আসীন। আর এটি সম্ভব হওয়ার পেছনে মো. ফিরোজের তত্ত্বাবধান অনস্বীকার্য। ব্র্যান্ডটির প্রথম বছরে ঈদের সময়েই অনলাইন বিক্রয় ৮০০-৯০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে ইশো তাদের গ্রাহকদের আসবাবপত্র ও লাইফস্টাইল পণ্যের চাহিদা অনুসারে সেবা দিয়ে চলেছে দেশের মোট ৪৬টি শহরজুড়ে।

মো. ফিরোজ আল মামুন মহামারির সময়টাকে একটু ব্যতিক্রমভাবে দেখেন। তিনি মনে করেন, এই সময় ব্যবসায়ের জন্য এক সম্ভাবনাস্বরূপ। তিনি বিশ্বাস করেন, চলমান পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। সেই সাথে ব্যবসা করার লক্ষ্যে সবসময় ঝুঁকির জন্য প্রস্তুত থেকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, আজকাল যেহেতু মানুষ বাড়িতেই বেশিরভাগ সময় কাটান, সেকারণে ঘরের সৌন্দর্য এবং স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতে কেউ অর্থ ব্যয় করতে সংকোচ করেন না। তিনি লক্ষ করেছেন, এই ক্রমাগত লকডাউনে গ্রাহকদের মধ্যে একটু ভিন্নধর্মী পণ্য চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন-বাড়িতে কর্মস্থল তৈরির জন্য আরামদায়ক চেয়ার, ঘুমের সমস্যা মোকাবিলা করতে আরামদায়ক গদি, ভাল আলো এবং নতুন পরিবেশের জন্য নতুন আলোকসজ্জা।

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার করে বাসায় বসেই তাদের পছন্দসই পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম ইশো এক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য ওয়ান স্টপ সল্যুশন হয়ে উঠেছে। তার মতে, ঝামেলামুক্ত, ইন্টারেক্টিভ ক্রয় পদ্ধতি এবং সহজে ইন্টারফেস নেভিগেট করার কারণেই এই মহামারিকালেও ব্র্যান্ডটির বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কৌশলটি ইশো তাদের গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখেই বাস্তবায়ন করেছে। কারণ, একটি ব্র্যান্ডের বিপণন কৌশলের টার্গেট গ্রাহকদের রুচি এবং পছন্দের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়।

মো. ফিরোজের বিশ্বাস, বাংলাদেশের পক্ষে বৈশ্বিক আসবাবপত্র বাণিজ্যের একটি ভালো অংশ দখল করা সম্ভব। বর্তমানে চীনে উৎপাদন খরচ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈশ্বিক ক্রেতারা বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছেন। বৈশ্বিক আসবাব বাজারে বাংলাদেশের একটি অনন্য আসন গ্রহণ করার জন্যে প্রয়োজন-আসবাব খাতে উৎপাদনের উপাদানগুলোর নির্দিষ্ট মিশ্রণ এবং শ্রমিকের বিশাল মানবসম্পদ।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

সর্বশেষ খবর