২৩ মে, ২০২২ ১৩:১৯

বিধিনিষেধ শিথিল এবং আগ্রহের কারণে ভ্রমণ বাড়ছে এশিয়া প্যাসিফিকে

অনলাইন ডেস্ক

বিধিনিষেধ শিথিল এবং আগ্রহের কারণে ভ্রমণ বাড়ছে এশিয়া প্যাসিফিকে

প্রতীকী ছবি

‘ট্রেন্ডস’ এবং ‘ট্রানজিশনস’ রিপোর্ট সীমিত বিধিনিষেধ ও কোভিড-১৯ মহামারিতে ভ্যাকসিন পরবর্তী বাস্তবতায় বৈশ্বিক ভ্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছে মাস্টারকার্ড ইকোনমিক্স ইন্সটিটিউট’স ট্রাভেল ২০২২। গবেষণায় দেখা গেছে, বিগত দুই বছরের অস্থিরতা পেরিয়ে মহামারির পর এবারই প্রথম অবকাশ ও ব্যবসা বিষয়ক ফ্লাইট বুকিং করোনা পূর্ববর্তী চাহিদাকে ছাড়িয়ে গেছে; যা বৈশ্বিক ভ্রমণের ক্ষতি কাটিয়ে উঠারই পূর্বাভাস দিচ্ছে।

এই রিপোর্ট বর্তমান বৈশ্বিক ভ্রমণ প্রেক্ষাপটে দুটি প্রধান পয়েন্ট চিহ্নিত করেছে। এগুলো হচ্ছে- ২০১৯ এর করোনা পূর্ববর্তী পরিস্থিতি এবং সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে শুরু করা ও অধিকাংশ অঞ্চলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ চালু হবার মতো বিষয়গুলো। রিপোর্টে ভ্রমণ বিষয়ক প্রধান প্রধান যে বিষয়গুলো উঠে আসে তা হলো- দ্রুত ভ্রমণ ক্ষতি কাটিয়ে উঠা, ভ্রমণ-বিষয়ক কেনা-কাটায় ভোক্তাদের সিদ্ধান্ত সমূহ এবং মুদ্রাস্ফীতি, হাইব্রিড (সশরীরে ও ভার্চুয়াল) ওয়ার্ক কালচার, স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকি এবং ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা ইত্যাদি, যেগুলো সামষ্টিক অর্থনীতিতে (ম্যাক্রোইকোনমিক্সে) প্রভাব ফেলে। এছাড়া ফ্লাইট বুকিং প্রবণতা বর্তমান হারে বাড়তে থাকে, তাহলে গত বছরের তুলনায় ৪৩ কোটি বেশি যাত্রী ২০২২ সালে এশিয়া প্যাসিফিকে ভ্রমণ করবে। উত্তর এশিয়া ও চীনের মেইনল্যান্ডে এখনো ভ্রমণ পুরোপুরি শিথিল না হলেও ভ্রমণের এই চিত্র এশিয়ার জন্য আশাবাদী হওয়ার মতো।

ভ্রমণ বিষয়ক বিধিনিষেধ শিথিল এবং প্রায় দুই বছর পর সীমান্ত উন্মুক্ত হওয়ার ফলে ইনবাউন্ড ও আউটবাউন্ড (অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী) উভয় ভ্রমণ-ই বেড়েছে। ভোক্তারা তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সঞ্চয় ভ্রমণে খরচ করছেন এবং ইন্দোনেশিয়ার সীমান্ত উন্মুক্ত হওয়ার পর ২০২২ সালে সেখানে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট বুকিং বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ। 

তবে মহামারির কারণে ভ্রমণ ক্ষতি হওয়ায় এশিয়া প্যাসিফিকে অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ভ্রমণকারীদের বেশি বিমানভাড়া গুণতে হচ্ছে। এশিয়া প্যাসিফিকে বিমান ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে, যেটি অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের ২০১৯ সালের ভাড়ার চেয়ে প্রায় ১১% ও ২৭% বেশি। এই অঞ্চলে বিমান খাতে চাকরি-সংস্থান এখনো করোনা পূর্ব সময়ের চেয়ে নিচে রয়েছে।

‘মাস্টারকার্ড ইকোনমিক্স ইন্সটিটিউট’ এর এশিয়া প্যাসিফিক অ্যান্ড মিডল ইস্ট আফ্রিকার চিফ ইকনোমিস্ট ডেভিড ম্যান বলেন, “একটু দেরিতে ক্ষতি কাটিয়ে উঠলেও এবং মুদ্রাস্ফীতির ফলে বিনোদনমূলক খরচে প্রভাব সহ অসংখ্য ঝুঁকি নিয়েও এশিয়া প্যাসিফিকের ভ্রমণকারীরা ভ্রমণ করার ইচ্ছা পোষণ করছেন।” 

তিনি আরও বলেন, “এশিয়া প্যাসিফিকের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রির জন্য ২০২২ সাল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্তের বিধি-নিষেধ শিথিল হওয়ায় ভ্রমণে ফিরছেন যাত্রীরা যা আশাপ্রদ, এই অঞ্চলটি বাকি পৃথিবীর সঙ্গে দ্রুতই যোগাযোগে ফিরবে।”  


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

সর্বশেষ খবর