১৫ মে, ২০২৪ ১২:০৩

হেয়ার এসেনশিয়াল

হেয়ার এসেনশিয়াল

প্রতীকী ছবি

চুল সুন্দর রাখতে তেলের জুড়ি মেলা ভার। স্টাইলিং তো বটেই, বছরজুড়ে চুলের মসৃণতা ধরে রাখতে প্রয়োজন তদারকি। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গুণাবলিতে ভরপুর এসেনশিয়াল অয়েলগুলো বিকল্পহীন। আর সৌন্দর্যচর্চায় নানা রকম তেলের ব্যবহার করা হয় বহুকাল আগে থেকেই।

এ প্রসঙ্গে আকাক্সক্ষাস গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের পরিচালক এবং রূপ বিশেষজ্ঞ জুলিয়া আজাদ বলেন, ‘চুলে তেল মালিশের সময় যে ম্যাসাজ করা হয় তা আমাদের চুল ও মাথার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। তেলে থাকা পুষ্টিগুণ চুলের গোড়া অবধি পৌঁছে যায়। আর তেল মালিশের আগে সামান্য গরম করে নিলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়। এতে চুল ও মাথার ত্বক সহজে তেল শুষে নিতে পারে। তাই তো প্রাকৃতিক গুণাবলির ব্যবহার হয়ে আসছে একাল-সেকাল সবকালেই।’

বাজারে নানা ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল পাওয়া যায়। যেমন- এসেনশিয়াল অয়েল, জোজোবা অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, অর্গান অয়েল, ল্যাভেন্ডার অয়েল, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল, সিসেম অয়েল এবং পামকিন অয়েল। তবে একেক তেলের রয়েছে একেক রকম গুণ। যার সবই ভীষণ উপকারী।

♦ এসেনসিয়াল অয়েল চমৎকারভাবে চুলের পরিচর্চায় কাজ করে। নানা উদ্ভিদের নির্যাস ও অনেক ঔষধিগুণে সমৃদ্ধ এসেনশিয়াল অয়েল। এই তেল মাথার ত্বকের রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের গ্রন্থিকোষগুলোকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

♦ জোজোবা গাছ থেকে জোজোবা অয়েলের নির্যাস। এতে নেই কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এটি গভীরভাবে চুল হাইড্রেট করে, ময়েশ্চার করে এবং চুলের গ্রন্থিকোষের ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়। খুশকি ও চুলের শুষ্কতা দূর করে এবং চুলকে সিল্কি করে তোলে।

♦ ক্যাস্টর দানা থেকে ক্যাস্টর অয়েল তৈরি। চুল বৃদ্ধিতে এই তেল দারুণ কার্যকর। এর ভিটামিন ই, মিনারেল ও প্রোটিনের মতো পুষ্টিগুণ চুল ঝরা নিয়ন্ত্রণ করে মাথার ত্বকের সংক্রামণ ও খুশকির বিরুদ্ধে কাজ করে। পাশাপাশি কন্ডিশনিং, ময়েশ্চার করে তুলতে ও চুলের আগা ফাটা রোধ করে।

♦ বাদাম জাতীয় ছোট ছোট ফল থেকে তৈরি অর্গান অয়েল। কয়েক ফোঁটা তেলেই মিলবে সুফল। এই তেলে চুলকে রোদের তাপ থেকে সুরক্ষা করে চুলে পুষ্টি জোগায়। ফলে চুলে শুষ্কতা ও ভঙ্গুরতা কমে আসে।

♦ কাঠবাদাম থেকে তৈরি আমন্ড অয়েল। যা চুলের ঘনত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কসমোলজিস্টরা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখতে নিয়মিত আমন্ড অয়েল ম্যাসাজের পরামর্শ দেন।

♦ ক্লান্তি দূর করার জন্য ল্যাভেন্ডার অয়েলের কদরই আলাদা। এই তেল মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে নিলে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। চুল ঝরা কমিয়ে চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এমনকি মাথার ত্বকের খুশকিও দূর করে।

♦ কুমড়ো বীজ থেকে তৈরি হয়ে থাকে পামকিন অয়েল (কদুর তেল)। এই তেল চুলের রুক্ষতা দূরে করে। চুলের গোড়া মজবুত, চুলকে ঘন, কালো ও লম্বা করতেও কদুর তেলের জুড়ি নেই। পাশাপাশি মাথা ব্যথা উপশম, চুল পড়া বন্ধ, চুল গজানো ও মেজাজ ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করে।

এ ছাড়া চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অলিভ অয়েল (জলপাই তেল) এবং সিসেম অয়েলের (তিলের তেল) ভূমিকাও অনেক।

লেখা : সাদিয়া সারা

 


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর