ত্বকের দাগছোপ নানা কারণে হতে পারে। যার সাধারণ একটি সমস্যা হলো সানবার্ন। দীর্ঘদিনের এমন সমস্যা থেকে মুখে ছোপ ছোপ দাগের সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, দূষণ ইত্যাদিও ব্রণ, ব্লাকহেডস, হোয়াইটহেডস, ডার্কসার্কেলের সমস্যা তৈরি করে থাকে। যাকে ক্লিনিক্যাল ভাষায় পিগমেন্টেশন বলা হয়।
মূলত সূর্যের তাপ বা রোদ থেকেই পিগমেন্টেশনের সমস্যা হয়। তাই বলে রোদ তো আর পুরোপুরি এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। অর্থাৎ দাগছোপ সম্পূর্ণ আটকানোর রাস্তা নেই। তবে বিউটি ক্লিনিকগুলো পিগমেন্টেশনের ধরন বুঝে ট্রিটমেন্ট দিয়ে থাকে। আর অবশ্যই নিয়মিত হোমকেয়ার এবং সানব্লকও ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি রান্নাঘরেও দেখবেন মিলছে সমাধান; বরং একটা নয়, একগাদা!
হলুদেরও ব্লিচিং প্রপার্টি হাইপারপিগমেন্টেশন দাগছোপ হালকা করতে অব্যর্থ। এমনকি ত্বককে রাখে জীবাণুমুক্ত। এক চা-চামচ হলুদগুঁড়ো ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে দাগের ওপর লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহারের পর অন্তত এক ঘণ্টা রোদ এড়িয়ে চলুন।
আলুর ক্যাটেকোলেজ নামক উৎসেচক ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আলুর খোসা ছাড়িয়ে স্লাইস করে নিন। স্লাইসের ওপর কয়েক ফোঁটা পানি দিয়ে তা ত্বকে হালকা করে ঘষুন। ৫-১০ মিনিট ঘষার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল দুইবেলা করে ঘষুন।
ত্বকের জেদি দাগছোপে চন্দন অব্যর্থ। এর কমপ্লেকশন ত্বক উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে। ২ টেবিল চামচ চন্দনগুঁড়ো সামান্য গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। আধঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের পুনর্জন্মে ‘ভিটামিন ই’ কার্যকর। আধাকাপ মুলতানি মাটি, এক টেবিল চামচ পেঁপে এবং দুটি ‘ভিটামিন ই’ ক্যাপসুল একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া ‘ভিটামিন ই’ অয়েলও সরাসরি মুখে লাগাতে পারেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ