৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৪৭

তিস্তার দু'পাশে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার কাজ হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিস্তার দু'পাশে সাড়ে আট হাজার কোটি
টাকার কাজ হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রংপুর অঞ্চল একসময় পিছিয়ে ছিল, আমরা এখন আর পিছিয়ে নেই। দেশের উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে রংপুরও এগিয়ে যাচ্ছে, রংপুরের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। রংপুরে পাইপে গ্যাস সররাহের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে, অল্প সময়ের মধ্যে তা শেষ হবে। রংপুর অঞ্চলে বেশ কয়েকটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ চলছে। প্রায় সাড়ে আটহাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা নদীর দু’ধারে উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে রংপুর বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতি (আরডিজেএ) আয়োজিত আরডিজেএ এর প্রয়াত সদস্যের সন্তানদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কুড়িগ্রামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার কাজ চলছে, সংসদে এ সংক্রান্ত বিল পাস করা হয়েছে। সৈয়দপুরকে আমরা আঞ্চলিক বিমান বন্দর হিসেবে গড়ে তোর জন্য কাজ করছি। ভূটান ও নেপাল এ বিমানবন্দর ব্যবহার করবে। এক সময় রংপুর অঞ্চলের মানুষকে ছোট করে দেখা হতো, এখন সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ এখন রংপুর অঞ্চলের মানুষের প্রশংসা করে। রংপুর অঞ্চলে এখন মঙ্গা নেই।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়াত সাংবাদিকের সন্তানদের জন্য বৃত্তি প্রদান করা একটি মহতি কাজ। চলমান প্রতিযোগিতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরা মানবিক দিক ভুলে যাই। রংপুর বিভাগের সাংবাদিকরা প্রয়াত সহকর্মীদের স্মরণ রেখেছেন, তাদের সন্তানদের নিয়ে চিন্তা করছেন- এটা একটি বিশাল কাজ।

রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোকছুদার রহমান মাকসুদের সভাপতিত্বে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিআরইউ সাবেক সভাপতি, আরডিজেএ সদস্য শফিকুল করিম সাবু, নজমুল হক সরকার, এমজে ইসলাম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আরডিজেএ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানে আরডিজেএ প্রয়াত সদস্যের ১০ সন্তানের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেওয়া হয়। বৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় প্রতি সন্তানকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা বৃত্তি দেওয়া হবে। পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বৃত্তি চলমান থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে আরডিজেএ সভাপতি মোকছুদার রহমান মাকসুদ বলেন, পিতাহীন একজন সন্তান সবথেকে অসহায়। ক্ষুদ্র সামর্থ নিয়ে আমরা আমাদের প্রয়াত সদস্যের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। সামর্থবানদের এ মহৎ কাজে পাশে চাই।
বৃত্তি নিতে এসে আরডিজেএ প্রয়াত সদস্য শফিউল আলম রাজার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা বলেন, সাংবাদিকরা পরিবারের জন্য কিছু রেখে যেতে পারে না। স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তানদের নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছি। এমন সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে আরডিজেএ।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর