২২ মে, ২০২২ ২০:৪৯

বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি দুর্গত মানুষের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

এসময় তিনি বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি সামলাতে সিলেটবাসীর পাশে থাকবে সরকার বলেও আশ্বস্ত করেন।

রবিবার সিলেট সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদানকালে সিলেট-১ আসনের এই এমপি এমন আশ্বাস প্রদান করেন।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতি বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে নেমে পানিতে সৃষ্ট আকর্ষিক বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে। দুর্গত মানুষের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রাকৃতিক এই দুযোর্গ পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাড়ি-ঘরের তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠালে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
 
বিশেষ করে সুরমা নদী খনন, মহানগরের পুকুর-দীঘি উদ্ধার ও খনন এবং ছড়াগুলোকে শতভাগ উদ্ধার করার নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। এমন প্রাকৃতিক দুযোর্গ থেকে মহানগর রক্ষায় স্বল্প, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রনয়নের উপর জোর দেন তিনি।

সভায় সিলেট মহানগর এলাকার প্লাবিত এলাকার নাগরিকদের ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সভায় আগামী বর্ষাকালে যাতে বন্যার পানি মহানগরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর আওতায় মহানগেরের যে সকল এলাকায় নদীর পাড় নিচু সেসব পাড় উঁচু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বন্যা থেকে সিলেট মহানগরকে রক্ষায় সুরমা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে নদী খননের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের গবেষণাপূর্বক প্রস্তাবনা সরকারের নিকট প্রস্তাবনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা সভায় দ্রুত সময়ের মধ্যে মহানগরের প্লাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাসা-বাড়ির তালিকা প্রনয়ন ও করণীয় বিষয়ক বিস্তারিত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।

এ লক্ষ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সওজ এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়।
 
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিসিক কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম, কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সস্তু, কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী, কাউন্সিলর রাশেদ আহমদ, কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান, কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ. কাউন্সিলর এ কে এ লায়েক, কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর সোহেল আহমদ রিপন সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাসুদা সুলতানা সাকি, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার সাদাত, সিলেট মাহনগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী, জালালাবাদ গ্যাস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শোয়েব আহমেদ মতিন, সড়ক বিভাগ- সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিক আহমদ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রেজাউল বারী তুহিন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (কলেজ) নূর-এ-আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের আঞ্চলিক পরিদর্শক মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর