স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এখন পর্যন্ত আমরা জনসাধারণের নাগালে পৌঁছাতে পারিনি। সেটা আমাদের জন্য সুখকর নয়। উন্নত বাংলাদেশে পৌঁছতে হলে জন্ম ও মৃত্যু নিববন্ধন কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে হবে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউপিসহ সব সংস্থা যদি একসাথে কাজ করে তাহলে আগামী এক বছরের মধ্যে একটা পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব।
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয় আয়োজিত জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২২ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের মহাপরিচালককে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন করতে গেলে সার্ভারে সমস্যা হচ্ছে। গত কিছুদিন এ অভিযোগ শুনছি। এটাকে কি সমস্যা হচ্ছে সেটা প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। সার্ভারের সমস্যা সমাধানের দিকে নজর দেন। আর এটা সমাধানে যদি ৫-৭ কোটি টাকা লাগে তাহলেও আমাদেরকে বলেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালায় এই টাকার ব্যবস্থা করবে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনকে যন্ত্রপাতিসহ কোটি কোটি টাকার আলাদা বরাদ্দ দিতে পেরেছি। সার্ভারের সমস্যা সমাধানে আপনাদেরকে দিতে পারবো সেই সক্ষমতা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আছে।
এসময় ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করতে গিয়ে অনেকে সার্ভার ডাউনসহ নানা সমস্যার মুখোমুখি পড়ছে। আমরা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। সে হিসেবে সমস্যা সমাধানে তারা আমাদের কাছে আসে। কিন্তু সমাধান দিতে পারি না। তাদের এ ভোগান্তির কারণে আমদের রোষানলে পড়তে হয়।
তিনি বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করতে গেলে মানুষের ভুল হতে পারে। আর এই ভুল ঠিক করতে যেতে হয় জেলা প্রসাশক কার্যালয়ে। নিবন্ধন করলো সিটি করপোরেশন আর ঠিক করলে যেতে হবে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। কেন? আমরাতো আলাদা একটা সংস্থা, এসব কাজতো আমরাই পারি। নাগরিকের দু’জায়গায় দৌঁড়াদৌঁড়ি করে হয়রানি করা হয়। যা নাগরিকের অন্যতম ভোগান্তির কারণ।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করতে দিনের বেলায় সার্ভারে ঢুকলে তা ডাউন হয়ে যায়। আর রাতের বেলায় একটু সচল থাকে। আর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাতের বেলায় এ কার্যক্রম করে থাকে। আর এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে একটি নিশাচর গোষ্ঠী (দালাল চক্র)। যেহেতু দিনের বেলায় মানুষ পারে না, রাতে তাদেরকে দিয়ে দেয় নিবন্ধন করতে। মানুষ নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. সামছুল আরেফিন ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের অফিসার্স ইনচার্জ ড. সাজা ফারুক আব্দুল্লাহ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক