২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:১৪

শিল্পায়নের কারণে বছরে এক শতাংশ করে ভূমি কমছে : কৃষিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

শিল্পায়নের কারণে বছরে এক শতাংশ করে ভূমি কমছে : কৃষিমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক

শিল্পায়নের কারণে প্রতিবছর এক শতাংশ করে ভূমি কমছে। কাজেই দেশের পুরোনো কৃষি পদ্ধতি বদলানোর কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কৃষি শ্রমিকের স্বল্পতা আছে। বিশেষ করে চাষের সময়ে এটা আরও প্রবল হয়। বাংলাদেশ প্রকৃতিগতভাবেই দুর্যোগপ্রবণ দেশ। তাই উৎপাদন ঠিক রাখতে হাওরের ৭০ শতাংশ এলাকায় কৃষিতে আমরা ভর্তুকি দিয়েছি। আর উৎপাদন ঠিক রাখার জন্য আমাদের আধুনিক ও কৃষির যান্ত্রিকীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শুক্রবার ইন্দো-বাংলাদেশ এগ্রি মেকানিসেশন সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। 

রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী এ সামিট চলছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের শীর্ষে আছে। ভারতে রপ্তানি আরও বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। শুধু দুই দেশের আধুনিক প্রযুক্তি উন্নয়নে নয়, খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নে এ সামিট ভূমিকা রাখবে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতার যুগান্তকারী উদ্যোগে ৪০ হাজার বিদ্যুৎ চালিত পাম্প, ২৯০০ গভীর নলকূপ ও তিন হাজার যান্ত্রিক টিউবওয়েল কৃষকদের বিতরণ করা হয় খুবই কম মূল্যে। এটা ছিল আধুনিক কৃষির শুরু। আমরা বলি, সেটাই ছিল বাংলাদেশে আধুনিক কৃষির শুরু।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মা। তিনি বলেন, আমি মনে করে এটি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। এর মাধ্যমে দুই দেশের কৃষি এগিয়ে যাবে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে এটি আরও কাজ করবে বলে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য ও শিল্পের উন্নয়নে কৃষি খাতের ব্যাপক অবদান আছে। এই সামিটের মাধ্যমে দুই দেশের কৃষিতে নতুন প্রযুক্তি আসবে। এতে করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ-ভারত ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছি। বাংলাদেশ এখন এশিয়া অঞ্চলে ভারতের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। আশা করছি, আগামী দিনেও এই যাত্রা অব্যাহত থাকবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। এই আয়োজন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াবে। কৃষি আমাদের দুই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

জসিম উদ্দিন বলেন, ২০২২ সালে আমাদের কৃষিতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। আমরা জানি, কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনে ভারত বিশ্বে শীর্ষে। আমরা বিশ্বাস করি, এটি দুই দেশের জন্য উইন-উইন পরিস্থিতি তৈরি করবে।

তিনি বলেন, তিন দিনের এই সামিট ও কারিগরি সেশনগুলো আমাদের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের কৃষির সম্প্রসারণে আরও বেশি ভূমিকা রাখবে।

এফবিসিসিআই, সিআইআই, ট্রাক্টর অ্যান্ড মেকানাইসেশন অ্যাসোসিয়েশন (টিএমএ) এবং ভারতীয় হাই কমিশনের অংশীদারত্বে আয়োজিত এক্সপো চলবে আগামী ২৭ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ও ভারতের শতাধিক স্টল রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনী ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর