পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনা ইসলামের একজন সাচ্চা খাদেম। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন শেখ হাসিনা। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় সরকারিভাবে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ৫৭৬টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছেন তিনি। যা এ দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। ইসলামের কৃষ্টিকালচারকে এগিয়ে নিতে তিনি মসজিদের সঙ্গে সংযোজন করেছেন আধুনিক পাঠাগার, ইসলামি কালচারাল সেন্টার। তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের জন্য সম্মেলনকেন্দ্র স্থাপন করেছেন।
শুক্রবার শরীয়তপুরের সখিপুরের আনন্দবাজার পূর্ব মালতকান্দি এলাকায় মসজিদে ইউসুফ ইবনে ঈসা আদ্দুহালাইনের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে ধারণ করে ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে শেখ হাসিনা সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বাংলাদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে জাগরিত করতে ইসলামি ফাউন্ডেশনের গোড়াপত্তন করেছিলেন, তেমনি তার সুযোগ্য কন্যাও ইসলামের বিস্তারে কাজ করে চলেছেন।
আওয়ামী লীগের এ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগের সরকারদের ন্যায় ধর্মের নামে কোনো কুসংস্কারকে ধারণ করেন না, পাত্তাও দেন না। প্রকৃত ধর্মানুসারীদের যথাযোগ্য মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে চলেছেন। আমাদেরকেও ইসলামের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে নির্দেশনা দেন। শেখ হাসিনার মতো ধর্মপ্রাণ রাষ্ট্র প্রধান থাকলে সে দেশে কোন অধর্মের কাজ করা অসম্ভব।
আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত মসজিদের উদ্বোধনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ অতিথি ছিলেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহালাইন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহালাইন বলেন, এখানকার মানুষের আন্তরিকতা ও সম্মানে আমি অভিভূত। এই প্রত্যন্তাঞ্চলে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের আতিথেয়তায় আমি সিক্ত। সৌদি আরব সরকার সব সময়ই বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধু হিসেবে পাশে ছিল, আছে আগামীতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক