শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার বা বাতিলের দাবিতে যারা আন্দোলন করছে, তাদের বেশির ভাগই কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত। তারা যে দাবিগুলো করছেন, তা একেবারেই যৌক্তিক নয়।
শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার বা বাতিলের ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ নোট, গাইড স্কুল পর্যায়ে গিয়ে বিক্রি করার সঙ্গে জড়িত এবং দুঃখজনক হলেও সত্য এর সঙ্গে কিছু কিছু শিক্ষকও জড়িত। তাই আন্দোলনকারীদের মূল উদ্দেশ্য হলো তাদের কোচিং বাণিজ্য টিকিয়ে রাখা।
তিনি বলেন, শিক্ষায় এত বড় একটি রূপান্তরের ক্ষেত্রে এক বছর বেশি সময় নয়। এতে অভিভাবকরা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হবেন, এতে শিক্ষকরা ক্রমাগত প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। নতুন শিক্ষাক্রমের বইগুলো এখনো পরীক্ষামূলক সংস্করণ চলছে, কারণ ক্রমাগত এর পরিমার্জন পরিচালন করছি। কিন্তু সিস্টেম পরিবর্তন হবে না।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ সালের অনেক গবেষণা ও সিদ্ধান্তের পর আজকের এই শিক্ষাক্রম। এই শিক্ষাক্রমের পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। এই শিক্ষাক্রম প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ এস এম মোসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বেপারী, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির সুমনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই