হালুয়াঘাট দুইটি মন্দিরে নির্মাণাধীন প্রতীমা ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘সুপরিকল্পিতভাবে দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের জন্য সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করতে দেশ-বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র চলছে।’
আজ শনিবার বিকালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সাকুয়াই ইউনিয়নের বন্দেরপাড়া রাধা গোবিন্দ হরি বাসর ও বিলডোরা ইউনিয়নের পলাশকান্দা কালি মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি হিন্দুধর্মাবলম্বী স্থানীয় জনসাধারণের সাথে পৃথক পৃথক দুইটি মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রিন্স বলেন, ‘যারা ধর্মে ধর্মে সংঘাত সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তারা মানুষ নামের অমানুষ, নরপিচাশ। এদের কোনো ক্ষমা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে চাই, এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন। বিচ্ছিন্ন ঘটনা হলেও এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িতদের আবশ্যই বিচার হতে হবে। ইতোমধ্যে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে এবং এর পেছনের ইন্ধনদাতা অপশক্তিকেও সে যেই হোক না কেন, তাদেরকে শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।’
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ছাত্র গণবিপ্লবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের কতিপয় মিডিয়া বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন নিপীড়নের কল্পকাহিনী প্রচার করছে। বাংলাদেশে এর কোনো সত্যতা না থাকলেও স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রাতের আঁধারে এমন কিছু দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ভারতের মিডিয়ায় প্রচারিত কল্পকাহিনীর সত্যতা প্রমাণের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ভজন সরকার, সজল সরকার, রঞ্জন সরকার, প্রবোধ সরকার, বিপ্লব সরকার, সুমন সরকার, সুভাষ সরকার, সুব্রত পাল, সাকুয়াই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ইউনুস খান, সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান,শহীদুল হক খান সুজন প্রমুখ।
এসময় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবু হাসনাত বদরুল কবির, বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই, বিএনপি নেতা কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, সাবেক চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন খান খোকন, চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, বিএনপি নেতা শামসুল আলম শামস, শহীদুল হক খান সুজন, সায়েদুল ইসলাম, সাদেকুর রহমান, আবুল কালম,আবদুস সালাম, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম শাহীন, মির্জা সারোয়ার হোসেন তায়েব, রাইসুল ইসলাম রাফিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলিমুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দুলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রভাষক খালেদুজ্জামান আউলিয়া, শরিফুল ইসলাম জাহিদ, ছাত্রদল নেতা আল মামুন, আল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ