ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, দেশের মানুষ জান-মালের নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে।
৫ আগস্টের পূর্বে সাধারণ মানুষ আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিপীড়নে পতিত হয়ে বৈষম্যের শিকার হতো আর এখন বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতার লোভ লালসা পূরণে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নির্যাতিত হচ্ছে। দেশে নতুন উদ্যামে চাঁদাবাজি, ছিনতাই শুরু হয়েছে।
শায়খে চরমোনাই বলেন, প্রশাসনের উঁচু থেকে নিচু পর্যন্ত লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করা সম্ভব না হলে নির্বাচনের পরিবেশ তো দূরের কথা স্বাভাবিক জীবনযাপন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কঠিন হবে। চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম আরও বৃদ্ধি হবে। কালোটাকার ছড়াছড়ি ব্যাপক হবে। আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার আশা বুমেরাং হবে।
মঙ্গলবার বিকালে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমদ মানসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ মুনতাসির আহমদ ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান।
চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঐ মুক্তিযোদ্ধা যদি কোনো অপরাধ করে থাকেন তবে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করে কোন নাগরিক তার গলায় জুতার মালা পড়ানোর ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই চাঁদপুরের মেঘনা নদীর হাইমচর উপজেলার ইশানবালা এলাকায় এমভি আল-বাখেরা নামে সারবাহী একটি জাহাজে দুর্বৃত্তরা আক্রমণ চালিয়ে ৭ জনকে গলাকেটে ও মাথা থেতলে হত্যা করার ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এ ঘটনার কারণ উদঘাটন করে দেশবাসীকে অবহিত করে এরসাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তির দাবি জানান।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত