রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির নেতা নির্বাচনে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে গোপন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেতগাড়ী বাজারে ব্র্যাক শিশু নিকেতন স্কুলে তিনটি পদে গোপন কক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ইউনিয়ন আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। এই ভোট শুধু ওই ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মীরাই দিতে পেরেছেন। বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। জাতীয় নির্বাচনের মতো তফসিল ছিল এই কমিটি নির্বাচনে।
তফসিল মোতাবেক মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই হয়েছে। প্রার্থীরা প্রচারের সময় পেয়েছেন তিন দিন। প্রতীক পেয়ে পোস্টার লাগিয়ে ও মাইকিং করে প্রচার এবং গণসংযোগ করেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের জন্য ছিলেন প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার, ছিল ভোটের বাক্স। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের জন্য ৪৫৯ জন ভোটার ছিলেন। এবারের নেতা নির্বাচনে সভাপতি পদে ৪ জন। সকালে সভাপতি প্রার্থী দুজন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ভোটগণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান মাবু।
সভাপতি পদে বিজয়ী মাওলানা সহিদুল ইসলাম চেয়ার মার্কায় পেয়েছেন ৩৩২ ভোট ও নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল ইসলাম আনারস মার্কায় পেয়েছেন ১১৪ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হাবিবুর রহমান মই মার্কায় পেয়েছেন ৩৬৩ ভোট ও নিকটতম শরিফুল ইসলাম ফুটবল মার্কায় ৮৫ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী নুরুল আমিন নাদিম মাছ মার্কায় পেয়েছেন ২৯০ ভোট। নিকটতম আহসান হাবীব তালা মার্কায় পেয়েছেন ১৫৬ ভোট। মোট ভোট পড়েছে ৪৫২টি।
নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত গোলাম রব্বানী রঞ্জু। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আইয়ুব আলী, প্রধান বক্তা ছিলেন রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ার শাহাদাৎ, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আখেরুজ্জামান মিলন, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিমুদ্দিন লিজু, চাঁদ সরকার, মীর কাশেম মিঠু, নাজমুল ইসলাম হুদা প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল