ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম বলেছেন, পতিত আওয়ামী স্বৈরশাসকের বৈষম্যের রাজনীতির কারণে দেশ রাজনীতি শূন্য হয়েছিল। একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করে দেশকে দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছিল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যে ৩১ দফা উত্থাপন করেছেন তা বাস্তবায়ন হলে দেশে থাকবে না কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শ্যামপুর থানার ৫৪ নং ওয়ার্ডস্থ কুলিবাগান ইর্স্টান হাউজিংয়ে ৩১ দফার আলোকে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে ৫৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় সাইফুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনামলে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী বাসায় ঘুমাতে পারেনি। বাবা-মা মারা গেলেও লাশ দেখার সুযোগও দেয়নি। ব্যবসায়ীরা চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে পারেনি। সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললেই হয় খুন নতুবা গুম হতে হতো।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ খুনির দল। এরা ধ্বংস করতে জানে সৃষ্টি করতে জানে না। শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যখাত, বিচার বিভাগসহ প্রতিটি সেক্টর ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এ থেকে জাতিকে মেরুদণ্ড সোজা হয়ে দাঁড়াতে হলে তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শুভ শিকদারের সভাপতিত্বে ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম এবং যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম আহমেদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও ৫৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. মোজাম্মেল হোসেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নাসির মোল্লা, ৪৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, ৫১ নং ওয়ার্ড সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ টিপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মো. তরিকুল ইসলাম পলাশ, শ্যামপুর থানা বিএনপি নেতা মো. ছানাউল্লাহ ছানু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সদস্য মো. সেলিম গফুর, ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আজীজ মুন্সী স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম রেজা, পিন্টু চৌধুরী, আহ্বায়ক সদস্য আব্দুল্লাহ, ৫১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মফিকুল ইসলাম বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মমিন মিয়া, ৪৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব এস এম মুরাদ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত