জাতীয় পার্টির নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জিএম কাদের, এরশাদপুত্র সাদ এরশাদসহ শীর্ষ ২১ নেতার গ্রেফতার ও তাদের সম্পদের হিসাব জনসম্মুখে আনার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বগুড়ার কাহালু উপজেলার জাপা নেতা খোরশেদ আলম।
রবিবার বিকেল ৪টায় বগুড়া শহরের সাতমাথায় মুক্তমঞ্চে তিনি এ কর্মসূচি পালন শুরু করেন। সাবেক ছাত্রনেতা খোরশেদ আলম কাহালু উপজেলার পৌর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা জাতীয় পার্টির ৫১নং সদস্য।
গ্রেফতার ও সম্পদের হিসাব জনসম্মুখে আনার দাবি করা জাপার শীর্ষ ২১ নেতা হলেন জাতীয়পার্টি নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জি.এম কাদের, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মজিবুর রহমান চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশীদ, রুহুল আমিন হাওলাদার, নাছরীন জাহান রতনা, মশিউর রহমান রাঙ্গা, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, লিয়াকত আলী খোকা, লেঃ জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, ফখরুল ইমাম, সাদ এরশাদ, পীর ফজলুল রহমান, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, নুরুল ইসলাম (ওমর), আলতাব আহম্মেদ, নুরুল ইসলাম তালুকদার, কাজী মামুনুল রশিদ, ছারওয়ার মিলন ও আদেল রহমান।
সাবেক ছাত্রনেতা খোরশেদ আলম বলেন, জীবনের ২৫টি বছর জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত। ছাত্র জীবন থেকে বগুড়ার কাহালু উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছি। তারপর যুব সংহতি ও পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। দল সবসময় আশার বাণী শোনালেও কখনও কোনো কাজ করেনি। দলের শীর্ষ নেতারা আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত হয়ে প্রধান বিরোধী দল না হয়ে অর্থলোভী আচরণ করেছে। তারা তাদের দলকে নানা ভাবে ব্যবহার করেছে। নিজেদের আখের গোছালেও কোনো কর্মীর জন্য কিছু করেনি। দলের নেতাকর্মীদের জন্য কিছুই করেনি।
তিনি আরও বলেন, ২৫ বছর ধরে আদর্শ ধরে রাজনীতি করে যাচ্ছি। কিন্তু কি পেলাম। আমি আমার ২৫ বছর ফেরত চাই। দলকে ব্যবহার করে বগুড়ার জাতীয় পার্টির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কর্মীদের সাথে প্রতারণা করেছে। এখন তারা পালিয়ে গেছে। কাহালু উপজেলায় অরাজনৈতিক ও মোবাইল চোরকে দিয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে খোরশেদ আলম বলেন, সরকারের কাছে আসা করি এদের গ্রেফতার, সম্পদের হিসাব ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। জাতীয় পার্টির কর্মীরা চায় তরুণদের নিয়ে নতুন করে জাতীয় পার্টি সংস্কার হোক।
উল্লেখ্য, খোরশেদ আলম রবিবার ও সোমবার দু'দিন বগুড়া শহরের সাতমাথায় এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলেও জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল