প্লাস্টিক সার্জারির জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় আসা রোগীদের চেহাড়া এতটাই বদলে যাচ্ছে যে তাদের পক্ষে বাড়িতে ফেরা মুশকিল হয়ে পড়ছে। সার্জারির পর তাদের চেহাড়া পাসপোর্টে দেওয়া ছবির সঙ্গেও একেবারেই মেলানো যাচ্ছে না।
মানুষ প্লাস্টিক সার্জারি করায় যাতে তাকে আগের থেকে ভালো দেখায়। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু প্লাস্টিক সার্জন তাদের কাজে এতটাই পটু যে তাদের এই কাজে রোগীদের পড়তে হচ্ছে এধরনের বিভিন্ন সমস্যায়।
কোরিয়ার বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের 'প্লাস্টিক সার্জারি সার্টিফিকেট' দিতে বাধ্য হচ্ছেন, যাতে রোগীরা সহজে বাড়ি ফিরতে পারেন।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে চিনের ২৩ জল মহিলা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে ফেরার পথে মুশকিলে পড়েন। এই মহিলাদের এয়ারপোর্টের পাসপোর্ট আধিকারিকেরা আটক করে রেখেছিলেন। এই মহিলাদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর তাদের চিনে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয় এবং তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে তারা দেশে ফিরেই নিজেদের পারপোর্ট রিনিউ করিয়ে নেন। এর পর থেকেই সার্টিফিকেট দেওয়ার চল শুরু হয়েছে। এই সার্টিফিকের মাধ্যমে রোগীদের বাড়ি ফেরার কষ্ট কিছুটা হলেও ঘুচেছে।
দক্ষিণ কোরিয়াকে বিশ্বের প্লাস্টিক সার্জারির কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অন্তর্রাষ্ট্রীয় সোসাইটি অনুযায়ী এই দেশের ৭৭ জনের মধ্যে একজন এই ধরনের সার্জারি করিয়ে থাকেন। এমনকি ১৯ থেকে ৪৯ বছরের ২০ শতাংশ মহিলা স্বীকার করেছেন যে তারা নিজের চোখ বড় করতে প্লাস্টিক সার্জারির আশ্রয় নেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আসা বুমকে এর বড় কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। বেশির ভাগ রোগীই নিজের সঙ্গে একটি সেলিব্রিটির ছবি নিয়ে আসেন এবং তারা অনেক সময় আমেরিকানদের মতো নিজের চেহারা পেতে চান।