সাধারণত ইঁদুর, কাঠবিড়ালী, খরগোশ, শুকর ইত্যাদি প্রাণীকে করাল জাতীয় স্তন্যপায়ী গোত্রের মধ্যে ধরা হয়। ২০০৭ উরুগুয়েতে আবিষ্কৃত হয় জোসেফোরটিগাসিয়া। এ প্রাণী দেখতে চাইলে যেতে হবে মনটেভিডিও ন্যাশানাল হিসটরি মিউজিয়ামে।
সম্প্রতি জোসেফোরটিগাসিয়া মোনেসি (Josephoartigasia monesi) প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর ওপর করা এক গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, তিরিশ লক্ষ বছর আগে করাল জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণীর আকার মোষের মতো ছিল। আর মুখের সামনে ছিল দুই জোড়া বিশালাকার শক্তিশালী দাঁত। মূলার মতো বৃহদাকার দাঁত দিয়ে শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করত। গাছের ফল খেত।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই স্তন্যপায়ী প্রাণীর ওজন প্রায় এক টন ওজন। এরা ১৪০০ নিউটন শক্তিতে কামড় দিয়ে শত্রুকে আহত করতে পারে। দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলে অবাধ বিচরণ ছিল জোসেফোরটিগাসিয়ার। এরা সাধারণত তাঁদের ৩০ সেন্টিমিটার ধারাল কাঁচির মতো দাঁতকে মাটি খুঁড়ে খাবার বার করার জন্য ব্যবহার করতো।
জোসেফোরটিগাসিয়ার অস্তিত্ব ছিল ৪ থেকে ২ মিলিয়ন বছরের মধ্যে। এখনও তাদের বংশধর হিসেবে খুঁজে পাওয়া যায় দক্ষিণ আমেরিকায় কেপিবারা এবং পাকিস্তানে পিগমি জারবোয়া। ২০০০ ভেনিজুয়ালায় উদ্ধার হয় প্রাগৈতিহাসিক ১১৮ স্টোনের বিশালাকার করাল। এই জাতীয় প্রাণী ৮ মিলিয়ন বছর আগে দেখা যেতো বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা