জার্মানির পঞ্চিমাঞ্চলীয় ডুসেলডোর্ফ শহরে একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ফ্ল্যাট বুকিং দেওয়ার সময় অগ্রিম জমা বাবদ এর মালিককে ৩,৪৯০ ডলার দিয়েছিলেন ওই ভাড়াটিয়া। ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বেশ সুখেই দিনযাপন করছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে গেলেই মালিকের সঙ্গে ওই ব্যক্তির বিপত্তি বাধে। মালিকের অভিযোগ, ফ্ল্যাটের ওয়াশরুমে ওই ব্যক্তি নিয়মিতভাবে দাঁড়িয়ে প্রশ্রাব করার কারণে এটির মার্বেল ফ্লোরে স্থায়ীভাবে দাগ বসে গেছে। তাই তিনি ভাড়াটিয়ার অগ্রিম জমাকৃত অর্থের মধ্যে ১,৯০০ ইউরো রেখে দিবেন। মালিকের এমন আচরণে বেজায় অখুশি হন তিনি। শেষ পর্যন্ত আদালতের শরণাপন্ন হন ওই ভাড়াটিয়া। সংশ্লিষ্ট বিচারক কিন্তু ভাড়াটিয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ভাড়াটিয়া চাইলে ফ্ল্যাটের ওয়াশরুমে দাঁড়িয়েও প্রশ্রাব [পি] করতে পারবে বলে বিচারক তার আদেশে বলেন।
ওয়াশরুমের ফ্লোরে দাগ পড়ার পেছনে কারণ কি তা জানতে একটি বিশেষজ্ঞ দলকে তা তদন্ত করে দেখারও জন্য আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তদন্ত শেষে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত ইউরিক এসিডই ফ্লোরে দাগ পড়ার জন্য দায়ী। এর সঙ্গে একমত হন বিচারক স্টেফান হাঙ্কও। জার্মানিতে ওয়াশরুমে দাঁড়িয়ে প্রশ্রাব করা সাধারণ একটি বিষয় বলেও বিচারক তার আদেশে জানান।
ওয়াশরুমের ফ্লোর মার্বেলের হওয়ার কারণে তা যে খুবই দুর্বল এ ব্যাপারে ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়ার সময় ভাড়াটিয়াকে অবগত করা উচিত ছিল বলেও বিচারক তার আদেশে বলেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়ার
বিডি-প্রতিদিন/ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/শরীফ