ছোট প্রাণী বলে পিঁপড়াকে অসভ্য বলার কোন সুযোগ নেই। আমাজন জঙ্গলের আদিবাসী বা ভারতের কিছু গ্রামে এখনো মানুষ বনে-বাদাড়ে শৌচকর্ম সারলেও পিঁপড়ারা কিন্তু তা করে না মোটেই। উল্টো নির্দিষ্ট স্থানে তারা এ প্রাকৃতিক কর্মটি সারে। গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
এন্টেমোলজিস্টরা (পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ) আবিষ্কার করে ফেলেছেন এই খুদে প্রাণীরা মোটেও যেখানে সেখানে মল, মূত্র ত্যাগ করে না। বরং নিজেদের কলোনির মধ্যে নির্দিষ্ট একটি স্থানকেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার স্থান হিসেবে ব্যবহার করে।
জার্মান গবেষক টোমার জ্যাকজকেস ও তার সঙ্গীরা বহু পিঁপড়া কলোনি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, পিঁপড়াদের বাসার মধ্যেই রয়েছে নির্দিষ্ট 'টয়লেট' বা 'শৌচালয়'। এই নির্দিষ্ট স্থানেই মল মূত্র ত্যাগ করে তারা।
ব্ল্যাক গার্ডেন পিঁপড়াদের ২১টি কলোনিকে তার প্লাস্টার বাসায় দু'মাস ধরে যত্ন সহকারে পালন করেছেন। সেখানে পিঁপড়াদের বসবাসের জন্য সব ধরণের পরিবেশ তৈরি করা হয়। এই পিঁপড়াদের নিয়ম করে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাইয়েছেন। দেখেছেন প্রত্যেকটি কলোনিতেই একটি নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্যপদার্থ ত্যাগ করছে তারা। আর এজন্য তিনি ভিন্নসময়ে পিঁপড়াদের লাল ও নীল রঙ মেশানো খাবার দেন। দেখা যায় লাল রঙ মিশ্রিত বর্জ্যগুলো একপাশে ও নীল রঙ মেশানো বর্জ্যগুলো অন্যপাশে জমা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/ এস আহমেদ