প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণের পর কেটে গেছে ২০ বছর। তবুও শেষ রক্ষা হল না। ২০ বছর পরেই দোষী প্রমাণিত হল অভিযুক্ত, পেল শাস্তিও।
জানা গেছে, এটি ভারতের মালদহের ঘটনা। বুধবার মালদহ ফোর্থ কোর্টের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক এন্ড সেশন জজ ভবানী শংকর শর্মা এই সাজা ঘোষণায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন নির্যাতিতা ওই যুবতীর পরিবার।
সরকার পক্ষের আইনজীবী অমল কুমার দাস জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবকের নাম মানিক মন্ডল। তার বাড়ি হবিবপুর থানার দক্ষিণ চাঁদপুর এলাকায়। প্রতিবেশী এক যুবতীকে পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত মানিক মন্ডল। তার ওপর নৃশংস ভাবে শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়। এরপরই নির্যাতিতা ওই যুবতীর পরিবারের পক্ষ থেকে হবিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই দিনই গুরুতর অসুস্থ প্রতিবন্ধী যুবতীকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়৷ সাত দিন ধরে তার চিকিৎসা চলে।
এ ঘটনার পাশাপাশি হবিবপুর থানায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশ মামলা রুজু করে। ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই অভিযুক্ত মানিক মন্ডলকে গ্রেফতার করে হবিপুর থানার পুলিশ। বিচারাধীন অবস্থায় মালদহ জেলা সংশোধনাগারে থেকেই শুরু হয় এই মামলাটি।
অভিযোগের ভিত্তিতে মালদা হবিবপুর থানার তদন্তকারী অফিসার বিপুল সরকার ৩৭৬/(২)(১)এম ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেন। ১১জন সাক্ষী নেওয়া হয়। বুধবার দুপুর দুটোয় মালদহ আদালতে অভিযুক্ত মানিক মণ্ডলের ২০ বছরের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, অনাদায়ে আরও ৪ বছর জেল নির্দেশ দেয় আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন