বয়স মাত্র ১০ বছর। অথচ বুদ্ধিতে তার জুরি মেলা ভার। আর আইকিউ লেভেল শুনলে চমকে উঠতেই হবে। যার কথা বলছি সে এক বিস্ময় বালক। এই বালকের আইকিউ লেভেল ১৬২। আইনস্টাইন এবং স্টিফেন হকিংয়ের আইকিউ লেভেল ছিলো ১৬০। কে এই বিস্ময় বালক?
ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই বিস্ময় বালকের নাম কৃষ আরোরা। বর্তমানে ব্রিটেনের বাসিন্দা। মানব ক্যালকুলেটর বলা চলে তাকে। মাত্র চার বছর বয়স থেকেই বিষয়টি নজরে আসে। খুব দ্রুত গণিতের সমাধান করতে পারে ওই খুদে। এই বয়সেই দশমিকের গণিতের সমাধান কষতে সময় লাগত মাত্র কয়েক সেকেন্ড। বয়স যত বেড়েছে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বুদ্ধি। এখন তিনি আর পড়তে চান না প্রাইমারি স্কুলে। তার শ্রেণির তুলনায় দেড় গুণ উচ্চশ্রেণির গণিতের সমাধান করা কোনও ব্যাপারই নয় তার কাছে।
কৃষ আরোরার বাবা-মা দুইজনই পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। অল্প বয়সেই ছেলের এমন প্রতিভা দেখে তারা দাবার প্রশিক্ষক রাখেন ছেলের জন্য। মাত্র চার মাস সময় লেগেছিল সেটা শিখতে কৃষের। এরপর সেই দাবা প্রশিক্ষকই কৃষের কাছে আর জিততে পারেন না দাবা খেলায়।
শুধু পড়াশোনা নয়, পিয়ানো বাজাতে ভালোবাসেন ওই বিস্ময় বালক। সেখানেও তিনি অর্জন করেছেন পুরস্কার। পিয়ানো শেখার চারটি ধাপ তিনি শিখে ফেলেন মাত্র ছয় মাসে। এতে করে জায়গা করে নেন ট্রিনিটি কলেজ অফ মিউজিক হল অফ ফেমে। যে কোনও স্বরলিপি তার মুখস্ত। না দেখেই একের পর এক পিয়ানোতে সুর তোলেন ওই বিস্ময় বালক।
কৃষ আরোরার বাবা-মায়ের আশা ছেলে বড় হয়ে একজন গণিতবিদ হতে পারেন। বর্তমানে কৃষ পড়ছেন সেখানকার সেরা স্কুল কুইন এলিজাবেথে। কিন্তু তা নিয়ে কৃষের বক্তব্য, এখন তিনি যে শ্রেণিতে পড়েন সেখানে খালি যোগ আর গুণ শেখানো হয়। তিনি আর এসবে আগ্রহী নন। তার চাই বড়দের গণিত।
তার বাবা-মায়ের কথায়, যখন তাদের সন্তানের চার বছর বয়স তখনই তারা বুঝেছিলেন তাদের ছেলে সাধারণ কেউ নন। সে সময় মাত্র তিন ঘণ্টায় গোটা একটা গণিতের বই শেষ করেছিল। সঙ্গে ছিলেন তার মা। এরপর তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় গোটা বছরের হোমওয়ার্ক একদিনে বসে করে দিয়েছিল।
সূত্র- লাইভমিন্টডটকম।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ