হংকং বিমানবন্দরে প্রবেশ করতেই যদি আড়াই হাজার সাদা-কালো আদুরে পান্ডা আপনাকে স্বাগত জানায়, কেমন লাগবে? তবে সত্যিকারের পান্ডা নয়, এটি পান্ডার ভাস্কর্যের এক অভিনব প্রদর্শনী। শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এই প্রদর্শনীর লক্ষ্য হংকংয়ের বাসিন্দা ও পর্যটকদের কাছে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া।
প্রদর্শনীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘পান্ডা গো! ফেস্ট এইচকে’। সম্প্রতি হংকংয়ের জনপ্রিয় থিম পার্ক ওশান পার্কে দুটি পান্ডাশাবকের জন্ম হয়েছে। শাবকগুলোর জন্মস্থান হংকংয়ের মানুষের জন্য এক বড় আনন্দের বার্তা নিয়ে এসেছে। সেই আনন্দ উদযাপন এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই আয়োজন করা হয়েছে এই ভাস্কর্য প্রদর্শনী।
গত আগস্টে জন্ম নেয়া দুই পান্ডাশাবক এখন হংকংয়ের মানুষের গর্ব। তাদের মা ইং ইং, যিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়া পান্ডা। চীনের বেইজিং থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছিল ইং ইং এবং আরও তিনটি পান্ডাকে। এর মধ্যে দুটি পান্ডার নাম এন এন এবং কে কে, যারা বর্তমানে নতুন পরিবেশে ভালোই মানিয়ে নিয়েছে।
আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে দর্শনার্থীরা ওশান পার্কে সরাসরি দেখতে পারবেন ইং ইং এবং তার দুই শাবককে। এই নতুন প্রাণীদের ঘিরে গড়ে ওঠা উৎসাহকে কেন্দ্র করেই হংকং শহরে শুরু হয়েছে পান্ডা ভাস্কর্যের প্রদর্শনী।
এই ভাস্কর্যগুলো তৈরি করা হয়েছে ছয় পান্ডার আদলে। পুনর্ব্যবহারযোগ্য রবারের ব্যারেল, রেজিন এবং পরিবেশবান্ধব আরও কিছু উপাদান ব্যবহার করে এই ভাস্কর্যগুলো তৈরি করা হয়েছে। হংকংয়ের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ভাস্কর্যগুলো স্থাপন করা হবে।
হংকং শহর নিজেদের পর্যটন শিল্পকে আরও আকর্ষণীয় করতে পান্ডা প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পান্ডাকে অনানুষ্ঠানিকভাবে চীনের জাতীয় মাসকট হিসেবে ধরা হয়। প্রাণীটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া হংকংয়ের পর্যটন খাত আবার চাঙা করার লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রদর্শনী কেবলমাত্র ভাস্কর্য নয়, বরং হংকংয়ের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার এক প্রতীকী পদক্ষেপ। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়বে পান্ডার সৌন্দর্য, যা স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা তৈরি করবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল