দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে অবৈধ সম্পদ অর্জন, জামায়তের সঙ্গে সম্পর্ক ও মন্ত্রীত্বে তদবিরসহ বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি তার বিরুদ্ধের আনিত সব অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রসঙ্গে হানিফ দাবি করেন, হলফনামার বাইরে আমার আর কোনও সম্পদ নেই। এছাড়া তার সম্পদের পাশাপাশি ব্যাংকে ১৪ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।
জামায়াত সংশিষ্টতা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, আজকাল গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাকিতা দেখা যায়। কারণ আমার নির্বাচনী এলাকায় জামায়াতের রোকন তার ভুল বুঝতে পেরে আমাকে এলাকার উন্নয়নে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে সহায়তা করতে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু গণমাধ্যমে কি প্রকাশিত হয়েছিল তা সবাই জানে।
গণমাধ্যমের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দয়া করে জেনে লেখেন। এরকম তথ্য দিয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন, আমাদের মতো রাজনীতিবিদদের ক্ষতি হয়তো করতে পারবেন, ইচ্ছাকৃতভাবে চরিত্র হনন করতে পারবেন, কিন্তু এতে দেশের জন্য ভালো কিছু হবে না।
মন্ত্রীত্ব না পাওয়া বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে আমি নাকি মন্ত্রীত্ব না পেয়ে ক্ষুব্ধ। আমি গণমাধ্যকে অনুরোধ করবো এ ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না।
বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক কৌশলে পরাস্ত হয়ে সংখ্যালঘুদে ওপর আক্রমণ করছে- অভিযোগ করে তিনি বলেন, আজকে বিএনপি রাজনৈতিক আন্দোলনের কৌশলে পরাজিত হয়ে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এই বিশেষ সহকারী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত কঠোর হওয়া দরকার তিনি তত কঠোর হতে পারেন। যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
আশা রাখি খুব শিগগিরই বাংলার মাটিতে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, দেশের প্রতি দ্বায়িত্ববোধ থেকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে সরে এসে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করুন। সংহিসতা ত্যাগ করলে আলোচনা মাধ্যমে একাদশ নির্বাচনের ভবিষ্যত রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিমের সভাপত্বি আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট অভিনেতা পিযুষ বন্দোপধ্যায়, এটিএম শামসুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।