যশোর সরকারি এমএম কলেজের অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে আপন (২৮) নামে ওই পুলিশ সদস্যকে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত। রবিবার বিকালে চৌগাছা আমলী আদালতের বিচারক মিল্টন হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশে দেন।
আপন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আব্দুল বারিকের ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ থানার হরিণাকুন্ডু থানায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরিরত। রাতে যশোর কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রবিবার ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরে ওই ছাত্রী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।'
জবানবন্দিতে ভিকটিম জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল আপনের পরিচয় হয়। আপন নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত ৫/৬ দিন আগে আপন তাকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর খুলনার ডুমুরিয়া ও দিঘলিয়া এলাকায় নিয়ে তাকে পুনরায় ধর্ষণ করেন।
জবানবন্দিতে ওই ছাত্রী আরো অভিযোগ করেন, এসব ঘটনার পর তিনি আপনকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু আপন বিবাহিত হওয়ায় এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এছাড়া গত শুক্রবার খুলনা থেকে যশোর এনে স্বর্ণালংকার, টাকা ও মোবাইল ফোন কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়েন আপন।
এ ঘটনায় বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী শনিবার চৌগাছা থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিয়ান হোসেন শনিবার রাতে আপনকে আটক করেন। পরে রবিবার বিকালে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ মার্চ ২০১৫/শরীফ