বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি। প্রায় একই কায়দায় ২০১২ সালে নিখোঁজ হয়েছিলেন দলটির আরেক নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী। তারও আগে ঢাকার একটি ওয়ার্ডের কমিশনার চৌধুরী আলমকে একই কায়দায় তুলে নেয়া হয়েছিলো তার বাড়ি থেকে। এখন পর্যন্ত তারও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিবিসি বাংলার সোমবার সকালের অধিবেশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদী এসব তুলে ধরে বলেন, ''এগুলোর একটির সাথে আরেকটির সম্পর্ক আছে। একটির সাথে আরেকটির যোগাযোগ আছে অবশ্যই। এগুলো সব একই সূত্রে গাঁথা।''
ইলিয়াস পত্নী বলেন, মিস্টার সালাউদ্দিনকে উত্তরার একটি বাড়ি থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। তবে ইলিয়াস আলীকে তার বাড়ির কাছে সড়কে গাড়ি থামিয়ে তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটেছিলো। এরপর থেকে ইলিয়াস আলীর আর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তারও আগে ঢাকার একটি ওয়ার্ডের কমিশনার চৌধুরী আলমকে একই কায়দায় তুলে নেয়া হয়েছিলো তার বাড়ি থেকে। এখন পর্যন্ত তারও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সাক্ষাৎকারে স্বামীর ভাগ্যে কী ঘটেছে বলে মনে করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “হতে তো অনেক কিছুই পারে। আসলে কী হয়েছে তা তো জানিনা। আশা আছে বেঁচে আছেন।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “ওরা আন্তরিকভাবে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বা কোন চেষ্টা আছে বলে লক্ষ্য করিনি।”
তিনি আরও বলেন, “ঘটনার আধা ঘণ্টার মধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আমি জানিয়েছিলাম। আধা ঘণ্টার মধ্যে জানানার পরও তারা কোন খোঁজ পাবেনা সেটা আমি মনে করি না।”
তাহসিনা রুশদী বলেন, “আমি দেশের নাগরিক, আমার স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য, একটি বড় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি জানেন। এরপরও রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা না পেলে আমার পক্ষে তো আর কিছুই করা সম্ভব না।”- বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/১৬ মার্চ, ২০১৫/মাহবুব