সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আবারো সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আজ দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নিশাত সুলতানা অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামী মহিবুর রহমানের মাল ক্রোকের নির্দেশ দেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক হাকিম নিশাত সুলতানা মামলার আসামী মহিবুর রহমানের পিতা রফিকের জায়গায় শরীফ লেখা হওয়ায় তা সংশোধন করে জমা দেয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি সিলেট অঞ্চলের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুল আজ অভিযোগপত্রে মহিবুর রহমানের পিতার নাম সংশোধন করে দাখিল করেন। গত ২৫ ডিসেম্বর আসামীর মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রশীদ আহমেদ মিলন।
এদিকে, হরতালের জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছকে আজ আদালতে হাজির করা হয়নি।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আলমগীর ভূইয়া বাবুল জানান, সকল পলাতক আসামীর মালামাল ক্রোক কার্যকর হওয়ার পর পত্রিকায় গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মামলাটি বিচারের জন্য সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হবে। আজ এই মামলায় প্রথম চার্জশিটভুক্ত ৮ আসামী আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেন। হাজির হওয়া আসামীরা হলেন জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাইয়ুম, বিএনপি কর্মী আয়াত আলী, সেলিম আহমেদ, সাহেদ আলী, জয়নাল আবেদীন জালাল, জমির আলী, জয়নাল আবেদীন মোমিন ও ছাত্রদল কর্মী মহিবুর রহমান। মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে আওয়ামী লীগের জনসভা শেষ হওয়ার পরপরই গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ছিদ্দিক আলী, আবদুর রহিম ও আবুল হোসেন। এছাড়া হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি, অ্যাডভোকেট আবদুল আহাদ ফারুক, আবদুল্লাহ সর্দারসহ আহত হন ৭০ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান এমপি বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।
গত ২১ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জি কে গউছসহ ৩৫ জনকে আসামী করে আদালতে তৃতীয় দফা সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি সিলেট অঞ্চলের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুল।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ মার্চ ২০১৫/শরীফ