মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের কাঠপট্টি এলাকায় নবনির্মিত ৫২ মেঘাওয়ার্ডের কাঠপট্টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হচ্ছে আজ। আজ বিকাল ৫টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩’শ ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এটি মুন্সীগঞ্জের প্রথম বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
উদ্বোধনকে ঘিরে এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। কাঠপট্টি লঞ্চঘাট এলাকায় ধলেশ্বরী তীরের নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কয়েক দফা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চূড়ান্তভাবে উৎপাদনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
ফার্নেস ওয়েল ভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি মিরকাদিম গ্রিড হয়ে সরাসরি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে পারবে। প্রথম পর্যায়ে ৫২ মেঘাওয়ার্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও পরবর্তীতে এটি ১০৪ মেঘাওয়ার্ডে উন্নীত হবে।
মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. মাহবুুব রহমান জানান, মুন্সীগঞ্জে ১১৬ মেঘাওয়ার্ড বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এই কেন্দ্রটি চালু হওয়ায় স্থানীয় চাহিদার সহায়তা হবে এবং জাতীয় গ্রিডেও যুক্ত হতে পারবে। ঝড় বৃষ্টির কারণে নানা সময় জাতীয় গ্রিডের সাথে সমস্যা হতো, সেটাও দূর হবে। নিজ জেলায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকায় এখন বাড়তি সুবিধা থাকবে। তিনি আরো জানান, এ বিদুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে এ জেলায় আর কোন লোডশেডিং থাকবে না।
জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল বলেন, মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টিতে যে বিদুৎ কেন্দ্রটি চালু হচ্ছে তা এখানকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি জানান, দেশের মোট উৎপাদিত আলুর ১৫ শতাংশ আলু উৎপাদিত হয় মুন্সীগঞ্জে। বর্তমানে এ জেলায় বিদ্যুৎ চালিত ৬৮টি হিমাগার রয়েছে। এই সব হিমাগারের জন্য এই বিদুৎ কেন্দ্রটি আশির্বাদ হয়ে আসছে। জেলার গজারিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হওয়ায় সেসব শিল্পকারখানাসহ কৃষি ক্ষেত্রের সম্ভবনাও বাড়বে।
মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরের এলাইড হিমাগারের ম্যানেজার শাহ্আলম জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বভাবিক থাকলে জেনারেটর চালাতে হবে না। এতে একদিকে যেমন হাজার হাজার লিটার জালানি তেল সাশ্রয় হবে, হিমাগারে রক্ষিত আলুর গুনগত মানও ভালো থাকবে।
কাঠপট্টি বিদ্যুৎ প্রকল্পটির পরিচালক ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুর রহমান খান জানান, কেন্দ্রটির ব্যাপারে সিনহা পিপলস এনার্জি লিমিটেডের সাথে ৯ জানুয়ারি ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য চুক্তি হয়। সাড়ে ৩ একর জমির উপর এটি নির্মিত হয়েছে।
জানা গেছে, ফার্নেস ওয়েলের মূল্য বৃদ্ধির হার ব্যতিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারিত হয়েছে ৬ টাকা ৯১ পয়সা।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ মে ২০১৫/ এস আহমেদ