উজানের ঢল ও ভারীবর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মঙ্গলবার সকালে তিস্তায় এক মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যে কোন সময় তিস্তার পানি ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এদিকে উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ স্লুইস গেট খুলে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তিস্তা নদীর চর এলাকাগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে। তিস্তাপাড়ের মানুষজন জানান, এবার হয়তো বর্ষার আগেই তিস্তা নদীতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে।
তবে উজানের ভারীবর্ষণ ও ঢল নেমে আসায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে মরা তিস্তা নদী। শুকিয়ে থাকা তিস্তায় হু-হু করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নব-যৌবনে ফিরে এসেছে তিস্তায়।
তিস্তাপাড়ের পারুলিয়া চরের নৌকার মাঝি আমিনুর রহমান (৩৬) জানান, এখন চলছে জ্যৈষ্ঠ মাস। বর্ষাকাল অর্থাৎ আষাঢ় মাস আসতে এখনও ১১ দিন বাকী রয়েছে। তার আগেই তিস্তা নদীতে বান ডাকতে শুরু করেছে।
ব্যারেজ পানি উন্নয়ন বোডের বন্যা পূর্বাভাস সর্তকীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, সোমবার তিস্তা নদীর পানি ৫১ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০) ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হু-হু করে ঢল নেমে আসছে। মঙ্গলবার ডালিয়া পয়েন্টে বৃষ্টিপাত রেকড করা হয়েছে ৩৯ মিলিমিটার।
তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুরুজ্জামান বলেন, তিস্তা নদীর পানি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে নদীর পানি ব্যারেজ পয়েন্ট বিপদসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সকাল ১০টায় দশমিক ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। ধারণা করা হচ্ছে, যে কোন সময় তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। তাই দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইচ গেট খুলে রাখা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০২ জুন, ২০১৫/মাহবুব