গবাদি পশু কেনা ও লালন পালনের জন্য মাত্র ৫ শতাংশ হার সুদে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য উত্থাপিত বাজেটে এ প্রস্তাব করেন।
বাজেটে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৪০ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ''বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাণীসম্পদ উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ ঋণ কার্যক্রম অতিসত্বর শুরু করবে, যেখানে ৫ শতাংশ হারে গবাদি পশু খরিদ ও লালনের জন্য অর্থ দেওয়া হবে। এই খাতে ৩ বছর মেয়াদি একটি সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ''মৎস্য খাতে উন্নয়ন সম্ভব হলেও গবাদি পশুপাখির ক্ষেত্রে উন্নয়ন লক্ষণীয় নয়। মুরগি ও হাঁস পালনে অগ্রগতি হলেও চতুষ্পদ প্রাণীর ক্ষেত্রে কোনো মানোন্নয়ন ও সরবরাহে উন্নতি নেই।''
গবাদি পশুর খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাকে দুর্বল অভিহিত করে জনগণের পুষ্টির চাহিদা বিবেচনায় চতুষ্পদ প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে পাইলট প্রকল্প গ্রহণেরও প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও গবাদি পশুর টিকা উৎপাদন, চিকিৎসা সেবা প্রদান, কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে জাত উন্নয়নের বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও প্রস্তাব করেন তিনি।
কৃষি খাতে অগ্রগতির জন্য কৃষি গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে পোল্ট্রি শিল্পের আয়, পোল্ট্রি ফিড, গবাদি পশু, দুধ, ব্যাঙ, তুঁত চাষ, মৌমাছি চাষ, রেশম চাষ, ছত্রাক চাষ, ফুল চাষ, হাঁস-মুরগি, চিংড়ি ও মাছের হ্যাচারির আয়ের উপরে সর্বনিম্ন ৩ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ খাতের আয়ের প্রথম ১০ লাখ টাকার উপরে ৩ শতাংশ, পরবর্তী ২০ লাখ টাকার উপরে ১০ শতাংশ এবং অবশিষ্ট আয়ের উপরে ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ জুন ২০১৫/ এস আহমেদ