প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি দেশ এবং একই সঙ্গে আমরা পরস্পরের উন্নয়ন সহযোগী। আজকের এই অপরাহ্নে আমাদের মধ্যে খুবই ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ছিল গঠনমূলক। আমরা পরস্পরের উদ্বেগ এবং অগ্রাধিকার বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত। দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কের সব বিষয় নিয়েই আমাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।”
শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘শাপলা’ হলে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ নিশ্চয়তা দেন। এ সময় পাশে ছিলেন ঢাকা সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শেখ হাসিনা বলেন, “স্থল সীমান্ত চুক্তির অনুসমর্থনের দলিল বিনিময়ের মাধ্যমে ৬৮ বছরের মানবিক সমস্যার সমাধান হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করছি।”
তিনি বলেন, ''মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাদের দুদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন এবং এ বিষয়ে তার সরকারের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সমতা আনার জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য মংলা ও ভেড়ামারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমরা সম্মত হয়েছি। আমরা আশা করছি এরফলে বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আজ আমরা দ্বি-পক্ষীয় বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। যা আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট। এরমধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও ব্লু ইকনোমি। সহযোগিতার এই বিস্তৃত ক্ষেত্র আমাদের সম্পর্কের গভীরতার ব্যাপ্তি এবং পরিপক্কতার নিদর্শন।”
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সীমান্ত শান্তিপূর্ণ রাখা এবং এ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বজায় রাখার বিষয়ে আমরা আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি। সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বিষয়ে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
বিডি-প্রতিদিন/০৬ জুন, ২০১৫/মাহবুব