বাংলাদেশ সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরাতন ঢাকার গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শন শেষে রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনে যান। এরপর দূতাবাসের নতুন চ্যান্সারি কমপ্লেক্স উদ্বোধনে করেন নরেন্দ্র মোদি।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি এ কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয়। এর আগে তিনি সেখানে একটি চারা রোপণ করেন। এরপর তিনি উন্মোচন করেন ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক।
ভারত সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলো হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের হিন্দি বিভাগ, সংগীত বিভাগের রেকর্ডিং স্টুডিও, নৃত্য বিভাগ, মিরপুরের অন্ধ শিক্ষার্থীদের পুনর্বাসন উন্নয়ন সংস্থা (বিইআরডিও), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালের পয়ঃপদ্ধতি পয়ঃব্যবস্থা ও দূষিত জল বিশুদ্ধকরণ প্রকল্প এবং নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী ছাত্রী নিবাস ভবন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী, বাংলাদেশে ভারতের সাবেক কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইনফরমেশন) সুজিত ঘোষ প্রমুখ।
ফলক উন্মোচনের পর মোদি উপস্থিত সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ফটোসেশনে অংশ নেন। এরপর ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি হোটেল সোনারগাঁওয়ে ফিরে যান।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকারকে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে একটি এ্যাম্বুলেন্সও প্রদান করেছেন মোদি। এ্যাম্বুলেন্সটি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে।
এরআগে, দুই দিনের ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে নরেন্দ মোদি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান। মন্দিরে পৌছালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাইদ হোসেন খোকন তাকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি হিন্দু ধর্মাবলিম্বদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও প্রার্থনায় অংশ নেন। পরে সেখান থেকে রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্দেশে রওয়ানা হন। এরপর সেখান থেকে রবিবার সকাল ৯টা ৮মিনিটে গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শনে যান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ জুন, ২০১৫/মাহবুব