জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) 'মশাল' প্রতীক হাসানুল হক ইনুকেই দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচন কমিশনারের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত দেন।
নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১২ মার্চ অনুষ্ঠিত জাসদের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি অংশ দল থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর তারা নিজেদের প্রকৃত জাসদ আখ্যা দিয়ে কমিটি ঘোষণা করে। একই সঙ্গে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন অংশটিও কমিটি গঠন করে।
পরে দু’পক্ষই নিজেদের প্রকৃত জাসদ দাবি করে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নিজেদের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ‘মশাল’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য ইসিতে চিঠি দেয়।
এরপর ‘মশাল’ কার হাতে যাবে, তা নির্ধারণে গত ০৬ এপ্রিল দু’পক্ষেরই শুনানি করে ইসি। তবে শুনানিতে কোনো পক্ষই সিদ্ধান্ত না চাওয়ায় আপাতত দু’পক্ষকেই ‘মশাল’ দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। কিন্তু গত রবিবার (১০ এপ্রিল) ‘মশাল’ অন্য কাউকে না দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি দেন হাসানুল হক ইনু।
ইসি’র কর্মকর্তারা জানান, শুনানির সময় দু’পক্ষকেই দলের কাউন্সিলের দলিলাদি এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে কোন পক্ষের অধীনে কতোজন কাউন্সিলর, সংসদ সদস্য রয়েছেন ইত্যাদি তথ্য দেওয়ার জন্য বলা হয়। সে সময় দু’পক্ষই দলিলাদি জমা দেয়।
সেসব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, জাসদের কাউন্সিলের সময় সভাপতি পদ নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব হয়নি। সে সময় সবার সমর্থনেই হাসানুল হক ইনু সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তাই তার অংশটিকেই মূল জাসদ হিসেবে সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) তিন নির্বাচন কমিশনার ইনুর পক্ষে মতামত দেন। আর বুধবার একজন কমিশনার ভিন্ন মতামত দেন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচন কমিশনারদের মতামতের ভিত্তিতে ইনুর অংশটিকেই মূল জাসদ বিবেচনা করে 'মশাল' প্রতীক তাদেরই দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন সিইসি।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন