জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে বিশেষ আদালতে হাজির হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে তিনি উপস্থিন হন।
এর আগে, গত ৭ এপ্রিল খালেদা জিয়ার আইনজাবীদের সময়ের আবেদনের ভিত্তিতের আদালত আত্মপক্ষের সমর্থন ও যুক্তি উপস্থাপনের জন্য এদিন ধার্য করেন।
আদালতে হাজিরা দিতে এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সন গুলশানের বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। খালেদা জিয়ার আগেই আদালত প্রাঙ্গনে উপস্থিত হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি, যুগ্ম মহাসচিব মাহাবুব উদ্দিন খোকন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, সানাউল্লাহ মিয়া, ও মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ অনেক নেতা কর্মী।
এর আগে ৭ এপ্রিল মামলার দুই আসামি বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষের সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবী করে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করেন। সেদিন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে হাজির না হওয়ায় সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। তখন আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১৭ এপ্রিল আত্মপক্ষের সমর্থন ও যুক্তি উপস্থাপনের জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন— খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব