রাজশাহীর বাগমারায় আধিপত্য নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকা এ সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশের ওপর তারা চড়াও হয় দুইপক্ষই। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্ততঃ ৩০ জন। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাইনস থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। নিহতরা হলেন সিদ্দিকুর রহমান (২৪) ও মুনতাজ (৪২)।
স্থানীয়রা জানান, স্থগিত হয়ে যাওয়া নির্বাচনে বাগমারার আউচপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান সরদার জান মোহাম্মদ। দলের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুজ্জামান শহিদ। এরপর থেকে হাটগাঙ্গোপাড়া এলাকায় জান মোহাম্মদকে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ঢুকতে দেননি শহিদ ও তার সমর্থকরা। নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর বিকেলে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া এলাকায় শহিদের বাড়িতে হামলা চালান জান মোহাম্মদ ও তার সমর্থকরা। এসময় শহিদ ও তার সমর্থকরা বাধা দিলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বাগমারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) গলায় হাসুয়া ধরলে পুলিশ সদস্যরা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগের দুই সমর্থক নিহত হন।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, আওয়ামী লীগের কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রথমে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। তারপরেও হামলাকারীরা নিবৃত না হলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে সিদ্দিকুর রহমান (২৪) ও মুনতাজ আলী (৪২) নিহত হন।
পুলিশের গুলি ও হামলায় আহত ১০ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন জাহিদ হাসান বুলু, বুলবুল, মমতাজ, আলম, উজ্জ্বল, ইসহাক, ময়নুল ইসলাম, জাহিদ হোসেন, মুনতাজ (২) ও মুসলেম।
পুলিশ সুপার নিশারুল আরিফ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি পরে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন