পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর শব্দ 'মা'। মাত্র একটি অক্ষরের শব্দ ‘মা’, অথচ তাতেই যেন সমস্ত ভালোবাসা, আবেগের সম্মিলন। সম্পর্কের বেড়াজাল ছিন্ন করে সবাই দূর পরবাসে মিলতে পারে। চলে যেতে পারে প্রেমাবেগের বন্ধনের প্রিয়সীও। কিন্তু মা’র স্নেহ-ভালোবাসার বন্ধন কখনই ছিন্ন হবার নয়।
আজ বিশ্ব মা দিবস। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার এ দিবসটি পালন করা হয়। দিনটি উপলক্ষ্যে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। যদিও একটি বিশেষ দিনে মধ্যে মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা সীমাবন্ধ নয়। এই ভালোবাসা প্রতিটি দিনের। প্রতিটি ক্ষণের। তারপরও মায়ের প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টান্ত হিসেবে এই দিনটি পালন করা হয়।
বিশ্ব মা দিবসের ইতিহাস শতবর্ষের পুরানো। যুক্তরাষ্ট্রে আনা জারভিস নামের এক নারী মায়েদের অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। ১৯০৫ সালে আনা জারভিস মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃ-দিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রবিবার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে 'মা' দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা।
এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পিত-এর উদ্যোগে রবিবার বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি ভিআইপি সেমিনার হল নীচ তলায় ‘বিশ্ব মা দিবস ও রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন’ শিরোনামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে দশ কবিতাকর্মীর আত্মনিবেদন অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ মে, ২০১৬/মাহবুব