গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে রক্তাক্ত জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কূটনীতিক পাড়ার ক্যাফেটিতে শুক্রবারের ওই হামলায় ২০ জনের বেশি নিহত হয়।
নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, ''যে উদ্দেশ্যেই যখন যেখানে যারাই করুক না কেন, যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস অপরাধ ও অগ্রহণযোগ্য এবং একে কোনো ধর্ম, জাতীয়তা, সভ্যতা বা নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয় বলে পুর্নব্যক্ত করেছেন নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা।''
পরিষদ সদস্যরা প্রস্তাব ২১৯৯ (২০১৫) এবং ২২৫৩ (২০১৫) অনুসারে অসংগঠিত সন্ত্রাসী, সন্ত্রাসী সংগঠন ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ও দমনে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে এ হামলার পেছনে যারা রয়েছে তাদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
হামলায় শোক প্রকাশ করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ''আমরা ক্ষুব্ধ আরও একটি অমানবিক সন্ত্রাসী আক্রমণে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নিহতদের স্বজনদের আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতরা যেন দ্রুত সেরে ওঠেন সেই কামনা করি।''
এতে আরও বলা হয়, ঢাকার ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে সমন্বিত প্রয়াস নিতে হবে।
ইন্দোনেশিয়া হামলার নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানায় অন্য এক বিবৃতিতে।
সিঙ্গাপুরের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ''এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।''
পকিস্তান এক বিবৃতিতে বলেছে, ''ঢাকায় জঙ্গি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ‘কাপুরুষিত হামলা’। বাংলাদেশ কার্যকরভাবে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করতে পারবে এমনটা আশা করি।
ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে একদল অস্ত্রধারী ঢুকে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
সেখান থেকে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার এবং ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে ১৭ জনই বিদেশি নাগরিক।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ