নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত ৭ খুন মামলায় আপিল শুনানি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ২৬ পলাতক আসামির জন্য রাষ্ট্রীয় আইনজীবী (স্টেট-ডিফেন্স) নিয়োগ ও আসামিদের আপিল বিষয়ে আদেশের জন্য রাখা ছিল এই ডেথ রেফারেন্সটি।
এর আগে সাতখুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত কৌসুলী নিয়োগের বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। আদেশ দেয়ার পূর্বে জামাল উদ্দিন নামে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক আদালতকে বলেন, জামাল উদ্দিন রায় ঘোষণার সময় পলাতক ছিলেন। পরে তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এখন তিনি কারাগার থেকে বিলম্ব মার্জনা সহকারে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেছেন। ওই আপিলটি হাইকোর্টে বিচারাধীন। অতএব, এই আবেদনের উপর আদেশ না দেয়া পর্যন্ত তার রাষ্ট্রনিযুক্ত কৌসুলীর বিষয়ে এই আদালতের আদেশ দেয়া ঠিক হবে না। এরপর তিনি সময় প্রার্থনা করেন। জবাবে আদালত বলেন, 'এ মামলাগুলো চাঞ্চল্যকর। সময় দেয়া যাবে না।'
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ৭ খুন মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ আসামির ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। বাকি ৯ আসামির ৭ জনকে ১০ বছর, একজনকে ৭ বছর ও অন্য একজনকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন (অব.) ও লে. কমান্ডার মাসুদ রানা (অব.)ও রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল অপহরণ করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে। পরদিন একই স্থান থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর দুটি মামলা হয়। এর একটির বাদী ছিলেন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। আরেকটি মামলার বাদী হন নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল।
মামলা দুটির তদন্ত শেষে ৩৫ জন অভিন্ন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়; যার মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার হলেও পলাতক ছিলেন ৭ জন।
বিডি প্রতিদিন/১১ মে, ২০১৭/ফারজানা