জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন,বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ। এই দেশটিতে আবহমান কাল ধরে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ মুক্ত পরিবেশে ও নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান যথাযথ ধর্মীয় ভাব-গাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে আসছেন।
১০ মে (বুধবার) সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘ভেসাক ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা গেছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৫৪/১১৫ নম্বর রেজুলেশন মোতাবেক ‘ডে অব ভেসাক’ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি দিবস। রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
জাতিসংঘে থাইল্যান্ড ও শ্রীলংকা মিশন যৌথভাবে মহামতি গৌতম বুদ্ধের ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত দিবস ‘ভেসাক ডে’ আয়োজন করে। এতে সহযোগিতা করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, লাওস, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম মিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীর অংশবিশেষ উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এ নীতিতে বিশ্বাসী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, মহামতি বুদ্ধের অহিংস, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী এবং তার জীবনাদর্শ ধারণ ও লালন করে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় বাংলাদেশকে একটি মানবিক, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বসভায় প্রতিষ্ঠিত করতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।’
রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন, ‘বর্তমান সংঘাতময় বিশ্বে হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন করার জন্য মহামতি গৌতম বুদ্ধের অহিংস, মৈত্রী ও করুণার বাণী থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘পাহাড়পুর, মহাস্থানগড় ও শালবনবিহারসহ বাংলাদেশে অবস্থিত বৌদ্ধ ঐতিহ্য খৃষ্টপূর্ব তৃতীয় শতক থেকে অদ্যাবধি আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে আসছে।’
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ