রাখাইন রাজ্যে নতুন করে গোলযোগ দেখা দেওয়ায় ফের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার জন্য সীমান্তে জড়ো হয়েছেন রোহিঙ্গারা। এদিকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সতর্ক থাকায় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেতে না পেরে সীমান্তের শূন্যরেখায় আশ্রয় নিয়েছে। এ অবস্থায় আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা গুলি ছুড়েছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু এলাকায় এ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
শনিবার দুপুরে এই গুলিবর্ষণের পর সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে বলে বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান জানিয়েছেন।
লে. কর্নেল মঞ্জুরুল বলেন, দুপুর সোয়া ১টার দিকে তারা তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এক রাতে ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনার পর উত্তেজনা আর শঙ্কার মধ্যে কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় রয়েছে।
কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার বাংলাদেশে প্রবেশের পর নাফ নদীর প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীরে বসে আছে সহায় সম্বলহীন কয়েক হাজার মানুষ। তারা যাতে কক্সবাজারের ভেতরে ঢুকতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। আগের রাতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় আটক ১৪৬ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে মিয়ানমারে।
মিয়ানমার সরকারের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের ওই হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ সদস্যসহ অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে রাখাইন রাজ্যের অবস্থা অত্যন্ত উত্তপ্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেখানে চারদিকে কেবল সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখা যাচ্ছে। অনেক মানুষ মারা গেছে, লোকজন কাঁদছে। খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে সব।
বিডি প্রতিদিন/২৬ আগস্ট ২০১৭/আরাফাত