নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রী বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক আহমেদ ফয়সালের ভাগ্যে কী ঘটেছে এখনো জানেনা তার পরিবার। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পাড়া প্রতিবেশী ও আহমেদ ফয়সালের স্বজনরা ভীড় জমাচ্ছেন তার বাড়িতে। ফয়সালের স্বজনদের কান্নায় হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন ফয়সালের বাবা সামসুদ্দিন সরদার ও মাতা সামছুন নাহার। শোকে পাথর পাড়া প্রতিবেশীও।
তিন ভাই দুই বোনের সংসারে আহমেদ ফয়সাল ছিল দ্বিতীয় সন্তান। আহমেদ ফয়সাল ডামুড্যা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, মিরপুর কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি ও ইভাইজ ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স ও মাষ্টার্স শেষ করে ২০১১ সনে বেসরকারী টেলিভিশন বৈশাখী টিভিতে যোগ দেন।
এদিকে কাঠমুন্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস বাংলা ফ্লাইটের পাইলট-ক্রু’সহ ৩৬ বাংলাদেশি আরোহীর মধ্যে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। বাকি ১১ জন আহত অবস্থায় কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের তালিকায় বৈশাখী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আহমেদ ফয়সালের নামও রয়েছে। সোমবার রাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তালিকা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার নেপালের কাঠমুন্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয় ইউএস বাংলার একটি বিমান। এ বিধ্বস্তের ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত ৫০ জন নিহত হন। মঙ্গলবার সকালে বিমানটির পাইলটও নেপালের নরভিক হাসপাতালে মারা গেছেন। ইউএস বাংলার ওই বিমানে ৬৭ জন যাত্রী এবং ৪জন ক্রু ছিলেন।
বিডিপ্রতিদিন/ ১৩ মার্চ, ২০১৮/ ই জাহান