সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় আছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক খান। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।
মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় আছে। প্রধানমন্ত্রী যখনই নির্দেশ দেবেন তখনই সেটা বাস্তবায়ন করা হবে। কমিটি লাগলে কমিটি গঠন করবো। আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে লাগলে সেভাবে গঠন করবো।’
তিনি বলেন, আমরা সব ভাবে প্রস্তুত। সরকার প্রধান যেভাবে চাইবেন আমরা সেভাবে ব্যবস্থা নিবো। প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন তার চূড়ান্ত রূপরেখাটা দেওয়া বাকি আছে। তবে সেটা কোনো পর্যায়ে দেওয়া হবে তার জন্য আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।
মোজাম্মেল হক খান বলেন, কোটা বাতিলের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন বা নির্দেশ দিয়েছেন সেটার চূড়ান্ত রূপ, যাকে আপনারা বলেন প্রজ্ঞাপন বা সার্কুলার, সে কাজটা একটু বাকি আছে। সেটা কোন পর্যায়ে আসবে সেজন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে। সরকার প্রধান যেভাবে বলবেন সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, যখন ছাত্ররা আন্দোলন করছিল, তখন সরকারের প্রতিনিধিরা গেলে তাদেরকে বলা হয় ৭ মে পর্যন্ত এক মাস আন্দোলন স্থগিত করা হবে। দেখা গেল সেই কথা বলার পরও আন্দোলন থামেনি। তা হলে আমার বিবেচনায় ৭ তারিখ তো আর থাকল না। তারা যদি সেদিন আন্দোলন বন্ধ করত তাহলে আজকে বলা যেত ৭ তারিখে কেন হলো না। এটা ঠিক কি-না?
কোটা বাতিল হলেও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হচ্ছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন বাতিলের কথা বলেছেন তার মুখ থেকেই আমরা শুনেছি তিনি সংসদে বলেছেন, যারা নৃ-গোষ্ঠী ও যারা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। ব্যবস্থার রূপরেখা আমরা এখনও সেভাবে প্রকাশ করিনি। সেটি আমাদের মাথায় আছে। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই সেটা চিন্তা করছেন। সূত্র: বাসস
বিডি-প্রতিদিন/০৮ মে, ২০১৮/মাহবুব