প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিম্ন ও মধ্যম পর্যায়ের চাকরিতে পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি বেতন পান, কিন্তু উচ্চ পর্যায়ে বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। আর অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সবক্ষেত্রেই চরম বৈষম্যের শিকার নারীরা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর এক গবেষণায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।
বুধবার সকালে নারী কর্মসংস্থানের ওপর আয়োজিত সংলাপে গবেষণাপত্রটি উপস্থাপিত হয়। এতে বলা হয়, নিম্নতম দিক দিয়ে ১ম পর্যায়ের চাকরিতে নারীরা ৮% বেশি মজুরি পান। ২য় পর্যায়ে এ হার ৬ শতাংশ। ৩য় থেকে ৭ম পর্যায় পর্যন্ত নারী-পুরুষের মজুরি সমান। কিন্তু ৮ পর্যায় থেকে বৈষম্য শুরু হয়।
সর্বোচ্চ ১০% বেতন বৈষম্যের শিকার হন নারীরা। এছাড়া অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নারীরা প্রায় সাড়ে ১৪ শতাংশ কম মজুরি পান। এসব বৈসম্য দূর করতে শ্রম আইন সংশোধনের আহ্বান জানায় সিপিডি। সংস্থাটির মনে করে শ্রম আইন মাত্র ১৬ শতাংশ কর্মজীবীকে সুরক্ষা দিচ্ছে।
নারী কর্মসংস্থানের তথ্য তুলে ধরে সিপিডি বলছে, উচ্চশিক্ষার সাথে নারীদের শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্ত হবার বিষয়টি সরাসরি জড়িত। উচ্চশিক্ষিত নারীদের প্রায় ৫৩ শতাংশই স্বাবলম্বী। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এ হার ৩১ শতাংশ।
বিডি প্রতিদিন/০৯ মে ২০১৮/আরাফাত